স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় সভায় অংশ নিতে এসে বিবাদে জড়িয়েছে সরকারী হাজী মোহাম্মদ মহসীন কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। এ সময় মারামারি ও সভাস্থলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পলাশসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। মারামারির সময় পুলিশ গিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সভাস্থল থেকে বের করে দেয়। এর ফলে কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর আবারও সভা শুরু হয়। গত শনিবার সকাল ১১টার দিকে কলেজের বিজ্ঞান ভবনের দোতলায় হলরুমে এ ঘটনা ঘটেছে।
কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈম ও যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান এবং যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পলাশ ও মায়মুন উদ্দিন মামুনের গ্রুপের মধ্যে এ মারামারি হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মারামারিতে গুরুতর আহত আনোয়ার পলাশকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সম্মান শেষ বর্ষের ছাত্র তাহফিম সোহেলও একই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া একই গ্রুপের বিএসএস তৃতীয় বর্ষের সাকিবও সামান্য আহত হয়েছেন। অন্যদিকে আহ্বায়ক কাজী নাঈম, সম্মান তৃতীয় বর্ষের রবি, এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের মেজবাহ এবং বিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের আরমানও সামান্য আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জানা গেছে, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কলেজের শহীদ মিনারে ফুল দিতে যায় দুই পক্ষ। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে বিবাদে জড়ায় পক্ষ দুটি। একপর্যায়ে কথাকাটাকটি, মারামারি ও ক্লাসরুমে ভাঙচুর করে তারা। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাসে দায়িত্ব পালন করা চকবাজার থানা পুলিশ তৎক্ষনাৎ উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেয়। পরে সভাস্থল থেকে ত্যাগ করে আবারও বিবাদে জড়ায় দুই পক্ষ। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান আজাদীকে বলেন, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
এদিকে সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলার ঘটনায় কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈমকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। গত শনিবার চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনদিনের মধ্যে নাঈমকে কারণ জানাতে বলা হয়েছে। কলেজে তার উপস্থিতিতে কেন শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ সংঘটিত হয়েছে এবং কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না সেটি তিনদিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে কাজী নাঈমকে।