মসলার পর্যাপ্ত মজুদ, কোরবানিতে দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই

খাতুনগঞ্জে প্রস্তুতি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৩০ মে, ২০২২ at ৮:৩৩ পূর্বাহ্ণ

 

 

কোরবানি ঈদের বাকি আছে আর এক মাস। সাধারণত কোরবানির সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যায় মসলার বাজার। ভোক্তাদের অভিযোগ, কোরবানির সময় স্বাভাবিকভাবে মরিচ, হলুদ, ধনিয়া, দারুচিনি ও এলাচে চাহিদা বেড়ে যায়। সেই চাহিদাকে পুুঁজি করে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী দাম বৃদ্ধি করে থাকেন। তবে খাতুনগঞ্জের একাধিক ব্যবসায়ীর দাবি, আসন্ন কোরবানিতে মসলার দাম বাড়বে না। ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে সম্প্রতি এলাচ, দারুচিনিসহ সব ধরনের মশলার দাম বাড়লেও গত কয়েকদিন ধরে কমতে শুরু করেছে। মসলার মজুদ আছে। কোরবানির ঈদে দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই। গতকাল চাক্তাইখাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। গোল মরিচ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৫০০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকায়। দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৩৫০৩৮৫ টাকায়। এছাড়া লবঙ্গ কেজিতে ১ হাজার ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব মসলার দাম সম্প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়ে। এখন আবার কমতে শুরু করে।

অন্যদিকে পাইকারিতে এখনো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মরিচ, হলুদ ও ধনিয়া। পঞ্চগড়ের ঝাল মরিচ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। হাটহাজারীর মিষ্টি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। ভারতীয় মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। ভারতীয় মিষ্টিঝাল মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়। এসব মরিচের দাম গত দুই মাসের ব্যবধানে বেড়েছে কেজিতে ৫০৬০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ধনিয়া বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকায়, দেশি হলুদ কেজিতে ১০০ টাকা এবং ভারতীয় হলুদ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।

খাতুনগঞ্জের কয়েকজন আড়তদার জানান, আমাদের দেশে প্রায় সব ধরনের মসলা আমদানি করতে হয়। স্বাভাবিকভাবে কোরবানির সময় মসলার চাহিদা বেড়ে যায়। তাই অনেক সময় বাজারে মসলার সরবরাহ সংকট দেখা দেয়। আগামী কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে আমদানিকারকরা ইতোমধ্যে প্রচুর পরিমাণে মসলা আমদানি করেছেন। ফলে বর্তমানে পাইকারি বাজারে মসলার পর্যাপ্ত মজুদ রয়েেেছ। ফলে মসলার দাম বাড়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

খাতুনগঞ্জের মসলা আমদানিকারক এবি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী অমর কান্তি দাশ আজাদীকে বলেন, মসলার বাজার অনেক কমে গেছে। যদিও সম্প্রতি ডলারের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাবে দাম বেড়ে যায়। তবে এবার বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণ করে দেয়ায় আমদানি ব্যয় কমে যাবে আশা করি। এছাড়া ভারতেও মসলার বাজার মন্দা। সব মিলিয়ে মসলার বাজারের বর্তমান যে অবস্থা আগামী কোরবানিতে দাম বাড়বে না, এটা বলা যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআবার বাড়ল চালের দাম
পরবর্তী নিবন্ধভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপকল্প