আবাসিক এলাকাগুলোতে অপরিচ্ছন্ন ছাদ মশার ভয়াবহ প্রজননক্ষেত্র হয়ে উঠছে বলে দাবি করেছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী৷ তিনি বলেন, আমরা ড্রোন উড়িয়ে বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় যে চিত্র খুঁজে পেয়েছি তা ভয়াবহ। চসিক নালা–নর্দমায় মশা নিধনের ওষুধ ছিটাচ্ছে, অনেকে বিভিন্ন কোম্পানির মশার স্প্রে দিয়ে ঘরের মশা মারছেন। কিন্তু বাসার ছাদে, ছাদবাগানে, ফুলের টব আর নির্মানাধীন বাড়ির বেজমেন্টে জমে থাকা পানিতে মশার ভয়াবহ প্রজনন হচ্ছে। এ বিষয়ে জনগণ সচেতনভাবে সক্রিয় ভূমিকা রাখলেই কেবল মশা নিধনের কার্যক্রম সাফল্য বয়ে আনবে।
তিনি গতকাল ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাদসহ জামালখান ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। মেয়র খাস্তগীর স্কুলের ছাদে কোনো পানি জমে থাকতে না দেখে স্কুল কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানান। তবে স্কুলটির একাডেমিক ভবন–১ এর ছাদে গজিয়ে উঠা ঘাস ও আগাছা পরিস্কারের নির্দেশনা দেন মেয়র। এসময় মেয়র বলেন, সিটি কর্পোরেশন কেবল মশার ঔষধ ছিটিয়ে বা নগরবাসী নিজ উদ্যোগে ঘরে মশার স্প্রে ছিটিয়ে মশা নির্মূল সম্ভব নয়। পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রেক্ষিতে মশা থেকে বাঁচতে সচেতনতাই হতে পারে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। মেয়র শিক্ষা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের ছাদে বা গ্যারেজে পানি জমে আছে কী না তা খুঁজে দেখার আহবান জানান। পরিদর্শনে মেয়রের সাথে ছিলেন জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাস সুমনসহ চসিকের কর্মকর্তা–কর্মচারীবৃন্দ।