মশার কামড় থেকে নগরবাসীদের রক্ষায় নতুন মেয়র উদ্যোগ নেবেন-এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন রিকশা চালক মো. বাতেন। তিনি বলেন, শহরে মশা বেড়ে গেছে। এখন তো ঠিকভাবে মশার ওষুধও ছিটায় না। মেয়রের উচিত হবে ওষুধ যেন ঠিকভাবে ছিটায় সেটা নিশ্চিত করা। নতুন মেয়রের কাছে কি প্রত্যাশা করেন? জানতে চাইলে এসব কথা বলেন তিনি।
গতকাল চেরাগী পাহাড় মোড়ে কথা হয় মো. বাতেনের সঙ্গে।
তিনি বলেন, বর্ষাকালে শহরে পানি ওঠে। মেয়র যদি খাল-নালাগুলো ঠিকভাবে পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা করেন, তাহলে পানির কষ্ট থেকে আমরা রক্ষা পাব। আমার বাসা বাকলিয়া মাস্টার স্কুল এলাকায়। সেখানে বাসা-বাড়ি থেকে ময়লা-আবর্জনা প্রতিদিন নিয়ে যায় না। সপ্তাহে একদিন নিয়ে যায়। প্রতিদিন নেয়ার ব্যবস্থা করার আবেদন থাকবে।
রিকশার লাইসেন্স দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মো. বাতেন বলেন, মাঝখানে সিটি কর্পোরেশন রিকশার লাইসেন্স দিয়েছিল শুনেছিলাম। আমরা পাইনি। লাইসেন্স ছাড়া রিকশা চালাতে যেন হয়রানি না করে। প্রয়োজনে আবার লাইসেন্স দেয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
বাতেনের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। তিনি বলেন, এরশাদ সরকারের আমল থেকে চট্টগ্রামে আছি। আমি চট্টগ্রামের ভোটার। তেমন কোনো চাওয়া নাই। যেন চলতে পারি, কর্ম করে খাইতে পারি-সেটার নিশ্চয়তা চাই। ভাড়া ঘরে থাকি। বউ-বাচ্চা নিয়ে কত কষ্টে আছি সেটা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। মেয়র আসে-যায়, আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন হয় না। তাই কি আর প্রত্যাশা করবো। মেয়র তো আমার গরিবি হাল দূর করতে পারবে না। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আয় বাড়েনি। সেই সকালে বের হয়েছি, এখন পাঁচটা (বিকেল) বেজে গেছে। মাত্র ৪০০ টাকা আয় হয়েছে। এ টাকা দিয়ে ঘর ভাড়া, বউ-বাচ্চার খাবার যোগাড় করা এবং ছেলেদের লেখাপড়া করানো কি সম্ভব হবে? দুঃখের বিষয়, আমার ছেলে এসএসসি পাস করার পর ইন্টারে এমইএস কলেজে ভর্তি করিয়েছিলাম। তার পড়াশুনার খরচ আর দিতে পারছি না বলে পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আগের মেয়রগণ কাজ করেছে। রাস্তাঘাট ঠিক করেছে। সেটা তো সবাই দেখেছে। আমরা চাইবো, নতুন মেয়র যেন পুরনো কাজগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষা করে। তিনি বলেন, যেখানে থাকি সেখানে ঘর ভাড়া বেশি। এজন্য ঘরের মালিককে দোষ দিয়েও লাভ নাই। সবকিছুর খরচ তো বেড়ে গেছে। তারাও বা কি করবে। ঘর-ভাড়া কমাতে মেয়র কি কিছু করতে পারবে? জানি পারবে না। করতে পারলে ভাল। তবে সিটি কর্পোরেশন কি ট্যাক্স নেয় শুনেছি। সেটা কমায় দিলে ঘর ভাড়া কমতে পারে। মেয়র এজন্য উদ্যোগ নিতে পারেন।