মশক নিধন কার্যক্রমে গতি আনার তাগিদ মেয়রের

৪১টি ওয়ার্ডে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম আগামী সপ্তাহে

| শুক্রবার , ২২ জুলাই, ২০২২ at ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কখনো নাগরিক সমাজের মানসিকতা পরিবর্তন ছাড়া সফল হতে পারে না। এ সময় পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে জনগণকে দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, আমি বলতে চাই- ভালোবাসা দিবস একদিন। আসুন আমরা নগরকে ভালোবাসি প্রতিদিন। আমরা নিয়মিত খাল-ড্রেন পরিষ্কার করছি কিন্তু বাসাবাড়ির আবর্জনা খাল-ড্রেনে ফেলে আবার তা ভরাট করছি। তা না করে মেয়র ডোর টু ডোর কর্মীদের হাতে গৃহস্থালী বর্জ্য তুলে দেয়ার আহ্বান জানান নগরবাসীর প্রতি।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বাটালি হিলস্থ চসিক নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মো. মোবারক আলীর সভাপতিত্বে ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- কাউন্সিলর হাজী মো. নুরুল হক, আবদুল বারেক, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, পরিচ্ছন্ন বিভাগের জোন প্রধানদের মধ্যে প্রণব শর্মা, হাসান রেজা, কল্লোল দাশ, আলী আকবর, মোহাম্মদ হাসান, আবু তাহের প্রমুখ।

মেয়র বলেন, এখন বৃষ্টির মৌসুম, ফলে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র বাড়ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে মশার ডিম পাড়া ও প্রজননের জন্য খুবই উপযুক্ত সময়। শীতের আগ পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থাকবে। মশার প্রজনক্ষেত্র বা ডিম পাড়ার স্থান যাই বলি না কেন এগুলোকে ধ্বংস করতে হবে। মশক নিধন কর্মীদের বাসাবাড়ি, হাসপাতাল, অফিস-আদালতের আনাচে-কানাচে ও জলাশয়ে ওষুধ ছিটানো এবং মশক নিধন কার্যক্রমে গতি বাড়ানোর জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

মেয়র জানান, মশক নিধন কাজে নিয়োজিতদের জন্য আলাদা পোষাক ও এই কার্যক্রমে বিশেষ দলের জন্য অন্য রংয়ের পোষাকের ব্যবস্থা, মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য স্প্রে, ফগার মেশিন ও ওষুধ যথাযথভাবে সরবরাহ করা হবে। ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে আগামী সাপ্তাহে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে একযোগে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হবে বলে জানান মেয়র।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহালিশহরে অপহরণ ও চাঁদাবাজির ঘটনায় দুই যুবক গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধপতেঙ্গায় হচ্ছে সর্বাধুনিক স্টিল সাইলো