মরদেহ উদ্ধার হাটহাজারীতে যুবকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য

হাটহাজারী প্রতিনিধি | রবিবার , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ

হাটহাজারীর চট্টগ্রাম-নাজিরহাট সড়কের মনিয়া পুকুর সংলগ্ন খন্ডলের ঘাটা এলাকা থেকে মারুফ হোসেন সায়মন (২৩) নামে এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোর ৫টার দিকে পরিবারের হাতে মরদেহটি তুলে দেন নাজিরহাট হাইওয়ে থানা পুলিশ।
নিহত সায়মন স্থানীয় আবদুল মালেকের পুত্র। সড়ক দুর্ঘটনা সন্দেহ করে হাইওয়ে পুলিশ পরিবারের হাতে মরদেহ বুঝিয়ে দিলেও বাড়িতে নেয়ার পর নিহতের মাথায় দুটি ছিদ্র দেখতে পায় পরিবার। ধারণা করা হচ্ছে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হাটহাজারী থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নিহতের পরিবার ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে নিহতের ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে নিহতের পিতা আব্দুল মালেকের মুঠোফোনে পুলিশ পরিচয়ে একটি কল আসে। ছেলের সমস্যা হয়েছে দ্রুত আসেন জানিয়ে ওই প্রান্ত থেকে জানানো হয়। তাৎক্ষণিক নিহতের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দেখতে পায়। নিহতের মামাত ভাই নাছির জানান, হাইওয়ে পুলিশ তাদের জানান, হাটহাজারী থানার টহলরত পুলিশের ফোন পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের ধারণা সে হয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। মরদেহ গোসল দিতে গেলে মাথার সামনে বাম পাশে ও পিছনে দুটি ছিদ্র দেখে উপস্থিত লোকজন বিষয়টিকে হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করেন। খবর পেয়ে হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক পাঠিয়ে দেন।
নিহতের মামা মো. জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, এটা হত্যাকাণ্ড। গুলি করে কেউ হত্যা করেছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
থানার ওসি রুহুল আমিন সবুজ বলেন, হত্যাকাণ্ড নাকি অন্যকিছু ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর জানা যাবে। তবে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅপহরণের ১০ দিন পর কিশোরী উদ্ধার যুবক আটক
পরবর্তী নিবন্ধআর্থিক স্বচ্ছতায় বাংলাদেশের অগ্রগতি হলেও মানদণ্ডে ঘাটতি