মরক্কোর ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। আহতের সংখ্যাও দু’হাজারের বেশি বলে জানা যাচ্ছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা। আফটারশকের কারণে সেখানের মানুষের আতঙ্ক কমছে না। এমন পরিস্থিতিতে ঘরে ফিরতে ভয় পাচ্ছে তারা। এদিকে জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মরক্কোর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আফ্রিকার উত্তর–পশ্চিমের ছোট পাহাড়ি দেশ মরক্কো। শুক্রবার রাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সে দেশের মাটি। স্থানীয় সময় অনুযায়ী রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.৮। এর পর ছোট ছোট কয়েকটি আফটার শকেও কেঁপেছে মরক্কো। মারাকাশ শহর থেকে ৭২ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। রাতে যে সময় কম্পন অনুভূত হয়, অনেকেই তখন ঘুমোচ্ছিলেন। ভূমিকম্পের প্রতিঘাতে একাধিক বাড়ি ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। গত ৬০ বছরে মরক্কো এত বীভৎস প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়নি।
মরক্কোর ঠিক পূর্ব দিকেই রয়েছে আর এক আফ্রিকান দেশ আলজেরিয়া। এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে তেমন বনিবনা নেই। গত কয়েক দশক ধরে ধারাবাহিক ভাবে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। বছর দুয়েক আগে মরক্কোর সঙ্গে সমস্ত রকম সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল আলজেরিয়া। কিন্তু পড়শির এই দুর্দিনে তারা মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেনি। আলজেরিয়া থেকেও ত্রাণসামগ্রী এসে পৌঁছেছে মরক্কোতে। আফ্রিকান দেশটির পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকাও। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, আমেরিকা থেকে মরক্কোর সঙ্গে সর্ব ক্ষণ যোগাযোগ রাখা হয়েছে। মরক্কোতে আমেরিকার যে সমস্ত নাগরিক আছেন, তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে, উদ্ধারকাজে প্রয়োজনীয় সব রকম সাহায্য করছে আমেরিকা। এ ছাড়াও, তুরস্ক, কাতার, ফ্রান্স, জার্মানি, ইজরায়েল, দুবাই, জর্ডান থেকে মরক্কোর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফ্রান্সের একটি মোবাইল অপারেটর এক সপ্তাহের জন্য মরক্কোতে বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার কথা জানিয়েছে।