বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বলেছেন, আমরা পুলিশি কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে চাই। আমরা প্রকৃত অর্থেই জনগণের বন্ধু হতে চাই। গতকাল শনিবার বিকেলে দামপাড়া পুলিশ লাইনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
আইজিপি বলেন, পুলিশ সত্যিকারের জনগণের সেবক হিসেবে কাজ শুরু করেছে। ৫ আগস্টের পর পুলিশকে পুনরায় কর্মক্ষম হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। তাদের মনোবল ফিরিয়ে আনা এবং কাজে ফেরানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জনগণের সঙ্গে পুলিশের আর দূরত্ব থাকবে না। মব জাস্টিসের নামে কেউ আইন হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইজিপি বলেন, যেসব জঙ্গি জামিনে রয়েছে তারা নজরদারিতে থাকবে। তারা আবার জঙ্গিবাদে জড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চলমান যৌথ অভিযান প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, এখন পর্যন্ত ২৩৮টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্রের মধ্যে ৭৫ ভাগ উদ্ধার হয়েছে। অস্ত্র ব্যবহারকারী যেখানেই থাকুক আইনের আওতায় আনা হবে।
দুর্গাপূজা নিয়ে তিনি বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজা উৎসবের মধ্য দিয়েই পালিত হবে। দুর্গাপূজায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি বিনষ্টকারী কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে সেই ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, মামলার আসামি হলেই গ্রেপ্তার করা হবে না। শুধুমাত্র তদন্তে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলেই গ্রেপ্তার করা হবে। নিরীহ কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না।
হিজবুত তাহরীর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, হিযবুত তাহরীর ‘জঙ্গি’ সংগঠন। সে ব্যাপারে আমাদের মামলা হয়েছে। আমাদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে, চলবে। জঙ্গির ক্ষেত্রে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। নিষিদ্ধ এই সংগঠনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলাম।
এর আগে দুপুরে আইজিপি চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইনসে সিএমপি ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত চট্টগ্রাম রেঞ্জের সকল পুলিশ ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সকল পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের সাথে বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশের সভাপতিত্বে বিশেষ কল্যাণ সভায় সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজসহ চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন ইউনিটের সকল স্তরের অফিসার ও ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়কালে র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ উপস্থিত ছিলেন।