এমন কতক বন্ধু আছেন যারা নানা উপদেশ দেন, মধুর রসাত্মক যোজনে নিজের জ্ঞানের ঢোল পেঠান। নিজেই অনেক বড় বোঝানোর চৌকস বুদ্ধিমান -মহান জ্ঞানী হয়ে উঠেন। তেমন একজনের সাথে সুসম্পর্ক করে বন্ধন গড়ুন ও স্বচক্ষে দেখুন তার নানা কর্ম, ন্যায় পরায়নতা, অন্যের প্রতি তার ভাবভঙ্গি ও আচরণ। এমন মানুষ আমি রোজই দেখি। সম্মানার্থে এই জ্ঞানী গুনীর নাম প্রকাশ করা গেল না। বলা যায় –বিচারক হতে গিয়ে এই উপদেশের পাহাড় গড়া কীর্তিমান জনরা (স্বার্থহানির ভয়ে) নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্বে তুষ্ট থাকেন। অন্যকে অবহেলার দৃষ্টিকটু মনোভাবে অপরাধী করেন। হায়রে বাহবা লুন্ঠনের মহৎ মনীষীরা–এটাই তো আপনাদের সঠিক রূপ। কেন মিছে মিছে মিথ্যাচার করে নিরপরাধ লোককে দোষের পরাকাষ্ঠে জড়িয়ে দেন? অন্যকে কষ্টের দহনে জ্বালিয়ে নিজেকে ফেরেস্তা সাজান? জগতে এমন উন্নাসিক কর্মে তুষ্ট, লোকের সাথে মধুর রসায়ন না থাকা উত্তম। অন্যথা নেহায়েত তিক্ততা বাড়বে। তাই বলি–নিজের প্রতি দৃষ্টি দিয়ে অন্যকে উপদেশ দেন। মন্দের ভালো পরামর্শ অযৌক্তিক। ভারসাম্যহীন প্রতিকূলতা প্রতিরোধ করুন। অযথা জ্ঞানী তাপস হয়ে নীতি বাক্য ছুড়বেন না? অমনুষ্য কর্মকাণ্ড থেকে নিজকে বিরত রাখুন। মা, মাটি ও শিকড়ে আমাদের আরোপিত সত্তা। অতএব তাকে সম্মান করুন অন্তত। বলাবাহুল্য কাউকে হারিয়ে দেওয়া খুব সহজ, কঠিন হলো কারো মন জয় করা।