মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রী হুইপ-সংসদ সদস্যসহ সরকারের সুবিধাভোগী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার তাগিদ দিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল চসিক নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এ নির্দেশনা জারি করেছেন। জারিকৃত নির্দেশনায় বলা হয়েছে- সরকারের সুবিধাভোগী মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-হুইপ-উপমন্ত্রী-সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নিতে পারবেন না। তাছাড়া সরকারি কোন কর্মকর্তাকে এবং প্রচারযন্ত্রকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবহার ও নির্বাচনী কাজে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না। শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার হলে তিনি ভোটের দিন ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান আজাদীকে জানান, আমরা সবার অংশ গ্রহণে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এই নির্বাচনে সবার সমান অংশগ্রহণ এবং সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই। তাই আমরা মনে করি সবার নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলা উচিত। এতে এলাকায় যাদের থাকার অথবা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার এখতিয়ার আছে, তারাই যেন থাকেন, এর বাইরে যেন কেউ না আসেন।
করোনা ভাইরাসের কারনে স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আগামী ২৭ জানুয়াাির অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গত ৮ জানুয়ারি থেকে প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে। প্রচারণার প্রথমদিন থেকেই জমে উঠেছে নির্বাচনী পরিবেশ। প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী আওয়ামীলীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেনের গণসংযোগে জনস্রোত সৃষ্টি হচ্ছে। এক প্রার্থী অপর প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করছে।
তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে চট্টগ্রামের মন্ত্রী-এমপির বৈঠক করাসহ রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই বিষয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের পক্ষ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করা হয়েছে এবং গত রবিবার ডা. শাহাদাত হোসেন নিজে মৌখিকভাবেও অভিযোগ করেছেন। এসব বিষয় আমলে নিয়ে গতকাল সোমবার রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এই নির্দেশনাটি জারি করেন।