সবাইকে বাস্তববাদী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেছেন, সাধারণ মানুষের ঘরে লোড শেডিং হলে মন্ত্রীদের বাড়িতে কেন নয়?
গতকাল সচিবালয়ে শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আমি তো বলি, মন্ত্রীদের বাড়িতেও লোড শেডিং করা হোক। এটি প্রধানমন্ত্রী করলে ব্যক্তিগতভাবে আমি সমর্থন দেব। ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাই একটু বাস্তববাদী হোন, কৃচ্ছ্রতা সাধন করুন। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ, অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যবহার করা ঠিক নয়। যারা অতিরিক্ত গাড়ি ব্যবহার করছেন ফিরিয়ে দিন, অতিরিক্ত তেল যারা ব্যবহার করছেন আর করবেন না। খবর বিডিনিউজের। কৃচ্ছ্রতা সাধনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রীদের বাড়িতেও লোড শেডিং হতে পারে। জনগণের বাড়িতে লোড শেডিং হলে মন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতে কেন হতে পারে না? যেটা যুক্তিযুক্ত সেটাই আমাদের করা উচিত।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় রাজনীতিবীদদের আরও দায়িত্বশীল হয়ে কথা বলার আহ্বান জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়াদুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা যারা এদেশে রাজনীতি করি, রাজনীতিকরা দায়িত্বশীল হব। কথা কর্তৃত্ব করে, কথা নেতৃত্ব দেয়, আবার কথাই সর্বনাশ ডেকে আনে। দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা সর্বনাশ ডেকে আনে। সবাইকে বলব কথাবার্তা বলতে হবে দায়িত্বশীলভাবে। দায়িত্বজ্ঞানহীন কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য দেবেন না। দায়িত্বহীন একটা কথায় দেশের অনেক ক্ষতি হতে পারে, বন্ধুত্ব নষ্ট হতে পারে। এ ব্যাপারে আমরা সবাই সতর্ক থাকব।
বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব বলেন, নির্বাচন দরকার নেই, দরকার সরকারের পতন। সেজন্য এখন ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনাকে কেমন করে নামাবে, এটা হল তাদের লক্ষ্য। আমরা আছি কিন্তু, এসেছি রাজপথ থেকে, প্রয়োজনে আবারও যাব। রাজপথে অশুভ শক্তিকে মোকাবেলা করা হবে। রাজপথ কাউকে লিজ দেইনি, রাজপথ জনগণের। রাজপথ কারও পৈত্রিক সম্পত্তি নয়।
বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞাসার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা বা মির্জা ফখরুল যখন বলেন, শেখ হাসিনা এত চক্রান্তের কথা কেন বলেন? ষড়যন্ত্রের কথা কেন বলেন? আজকে অগাস্ট মাস এলে ষড়যন্ত্রকারীরা বিচলিত হয়, কারণ ষড়যন্ত্রের ঝাঁপি খুলে যায়। ২১শে অগাস্ট এলে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখচ্ছবি ভেসে ওঠে। ২০ বার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। চক্রান্ত করা হয়েছে। তিনি ষড়যন্ত্রের কথা বলবেন না?
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কে কী করেন, কোথায় কী হচ্ছে এবার কিন্তু আমরা খুব সজাগ। এবার আমরা খুব সতর্ক। আমরাও জানি কোথায়, কে কী করছেন। বিদেশিদের দরবারে কোথায় কোথায় বৈঠক হচ্ছে। এসব চক্রান্তে চোখ, কান আমাদের খোলা রাখতে হবে। এবার চোখ, কান খোলা রেখেছি, শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে পার পাবেন না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কোন কাপুরুষটা বিদেশ চলে গিয়েছিল, সে হল আপনার প্রধান নেতা। মুচলেকা দিয়ে বলেছিল আর রাজনীতি করবে না, এখন বিদেশে বসে টেমস নদীর পাশে বসে কলকাঠি নাড়ে। ফখরুল সাহেবকে সেখান থেকে ফরমায়েশ দেন এবং তিনি এখান থেকে কথা বলেন। টেক ব্যাক বাংলাদেশ, ওখান থেকে স্লোগান দেয়। ওখান থেকে বলে টেক ব্যাক এখান থেকে বলে বাংলাদেশ। টেক ব্যাক কারা করবে, বিএনপি?












