আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান মিয়া (গোলাপ) মন্ত্রী না হয়েও মন্ত্রিপাড়ার যে বাড়িটিতে থাকতেন, সেটির বরাদ্দ বাতিল করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। বাড়িটিতে তার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠার পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিন্টো রোডের ৪২ নম্বরের বাড়িটির বরাদ্দ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বাড়িটি নতুন করে বরাদ্দ পেয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তবে এখনো তিনি সেখানে উঠেননি। বাংলোটির ‘দখল’ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছ থেকে বুঝে নিতে প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়। খবর বিডিনিউজের। রাজধানীর মিন্টো রোডটি সাধারণভাবে মন্ত্রিপাড়া বলে পরিচিত। সেখানকার দুই তলা বাংলোগুলো সাধারণত মন্ত্রীদেরকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে সেখানে বাংলোবাড়ি আছে ৯টি। এর মধ্যে একটি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত। আরেকটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে বরাদ্দ থাকে। বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ অতিথি এলে সেই বাংলোতে রাখা হয় তাদের। ফলে বরাদ্দ দেওয়ার মতো বাংলোবাড়ি আছে মাত্র সাতটি। ফলে মন্ত্রীরা চাইলেই বরাদ্দ পান, বিষয়টি এমনও না। তবে মন্ত্রী না হয়েও গোলাপ ২০১৬ সালে বাংলোটি বরাদ্দ পেয়েছিলেন সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসেবে। ২০১৮ সালের পর থেকে তিনি আর বিশেষ সহকারী নেই। একাদশ সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর–৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া গোলাপ সরকারে জায়গা পাননি। তবু তার এই বরাদ্দ বাতিল হয়নি। গোলাপ এখন সংসদ সদস্যও নেই। গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা হেরেছেন নিজ দলের নেত্রী তাহমিনা বেগমের কাছে, যিনি মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। ভোটের পর মন্ত্রী না হয়েও মন্ত্রিপাড়ায় আট বছর ধরে গোলাপের বসবাসের বিষয়টি নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত জানায়।