মন্ত্রণালয় কমিয়ে ২৫, পুরোনো চার বিভাগকে প্রদেশ করার সুপারিশ

জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা নয়াদিল্লির আদলে ক্যাপিটাল সিটি গভর্নমেন্ট গঠনের সুপারিশ স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস, বিভাগীয় শহরে হাই কোর্ট বেঞ্চের প্রস্তাব ১৫ বছর চাকরি করলে স্বেচ্ছায় অবসরের সুযোগ, বাধ্যতামূলক অবসরের বিধান বাতিল

| বৃহস্পতিবার , ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৭:২২ পূর্বাহ্ণ

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা, ক্যাপিটাল সিটি সরকার, মন্ত্রণালয়ের কলেবর কমিয়ে আনা, সরকারি সেবার প্রাপ্যতা নিয়ে গণশুনানির আয়োজনসহ একগুচ্ছ নতুন ধারণা দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছেন কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেয় সংস্কার কমিশন। পরে সেখানে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন মুয়ীদ চৌধুরী। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বিচার বিভাগের কমিশনের সদস্যরা প্রতিবেদন জমা দেন। এতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস, স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা, বিভাগীয় শহরে হাই কোর্ট ডিভিশনের স্থায়ী বেঞ্চ, জেলা আদালতকে সম্প্রসারিত করে উপজেলা পর্যায়ে এবং আদালত অঙ্গন দলীয়করণ মুক্ত রাখতে একগুচ্ছ সুপারিশ করা হয়। খবর বিডিনিউজের।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, আমরা স্বল্প মেয়াদী কিছু সুপারিশ করেছি যেগুলো ছয় মাসের মধ্যে করা যাবে, মধ্য মেয়াদী কিছু সুপারিশ করেছি যেগুলো এক থেকে দুই বছরের মধ্যে করা যাবে। দীর্ঘমেয়াদী কিছু সুপারিশ আছে যেগুলো পরবর্তীকালে ক্রমান্বয়ে দেখা যেতে পারে।

জনপ্রশাসন সংস্কারকে একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া আখ্যায়িত করে সাবেক এই আমলা বলেন, এজন্য আমরা সুপারিশ করেছি একটা স্থায়ী জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের জন্য। একই সঙ্গে এই কমিশন যাতে এবারের কমিশনগুলোর রিপোর্ট বাস্তবায়ন তদারকি করতে পারে। জনপ্রশাসনে একটা উদ্ভাবনী ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। সেখানে গতানুগতিকের পরিবর্তে নতুন নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে আসবে। সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটা আচরণ বিধিও প্রণয়ন করা দরকার। ব্যবসায়ীদের দিক থেকে একটা ওয়ান স্টপ সার্ভিসের দিকে জোর দিয়েছেন। যাতে করে ট্রেড রিলেটেড পরিষেবাগুলো এক জায়গা থেকে পাওয়া যায়।

সরকারি সেবা নিয়ে গণশুনানির সুপারিশ করার বিষয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন অভিযোগ শোনার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে একটা পাবলিক হিয়ারিংয়ের ব্যবস্থা যাতে করা যায়। পাশাপাশি নাগরিক কমিটি গঠনের ওপর সুপারিশ করেছি। জেলা নাগরিক কমিটি এবং উপজেলা নাগরিক কমিটি যাতে গঠিত হয়। যাতে করে নাগরিকদের প্রতিনিধিরা নিয়মিতভাবে সরকারের কাজকর্ম দেখতে পারে। এর সঙ্গে স্থানীয় এনজিও এবং সামাজিক সংগঠনের সংযুক্তির কথা আমরা বলেছি। আমরা আরেকটি বলেছি, সেবা প্রদানের ক্ষমতা যেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এখন সবকিছু হেডকোয়ার্টার বা মিনিস্ট্রিতে কনট্রোলড। এইটা যাতে না হয়। যাতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এই ক্ষমতাটা ডাইভার্ট করা যায়। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে হটলাইন স্থাপন করা উচিত, যাতে করে মানুষ সহজে যোগাযোগ করতে পারে, বলেন তিনি।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের লক্ষ্যে রাষ্ট্র সংস্কারে প্রথম ধাপে ছয়টি কমিশন করে। গত অক্টোবরে গঠিত এসব কমিশনের চারটি ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন পেশ করেছে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে গত ৩ অক্টোবর ১১ সদস্যের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমার কথা ছিল। পরে কমিশনের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে তার আগে গতকাল বুধবার কমিশন প্রতিবেদন জমা দিল। এছাড়া বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনও এদিন প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেছে।

প্রশাসনে আমূল সংস্কারের প্রস্তাব : মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত কমিশন মন্ত্রণালয়ের আমূল পরিবর্তনেরও কিছু সুপারিশ করেছে। এখন মোট ৪৩টি মন্ত্রণালয় ও ৬১টি বিভাগ আছে। আমরা মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা হ্রাস করে ২৫টি মন্ত্রণালয় ও ৪০টি বিভাগে সীমাবদ্ধ করতে বলেছি। পাঁচটি গুচ্ছে মন্ত্রণালয়গুলোকে ভাগ করার জন্য আমরা বলেছি। প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ দিয়ে কমিশন প্রধান বলেন, আমরা সরকারের কাছে প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থা চালু করার একটা প্রস্তাব করেছি। আমাদের লোকসংখ্যার কারণে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন খুব একটা কার্যকর থাকে না। যদি পুরনো চার বিভাগকে চারটা প্রদেশ করা যায়, তাহলে একদিকে এই সমস্যাগুলো যেমন দূর হবে, তেমনি রাজনৈতিক দিক থেকেও একটা প্রভাব আসবে। কারণ, একটা কেন্দ্রীয় সরকার একবার বসে গেলে সে পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। প্রদেশ হলে আমরা মনে করি সেটা সম্ভব হবে না। ভারত, পাকিস্তান, নেপাল বিভিন্ন দেশে এই ব্যবস্থা আছে।

ঢাকার সাভার, গাজীপুরের টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জ নিয়ে একটা ক্যাপিটাল সিটি গভর্মেন্ট বা অথরিটি করার সুপারিশ করার কথা তুলে ধরে মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, জেলা পরিষদ বাতিল করার জন্য বলেছি। বিভিন্ন ক্যাডারকে কোনো জায়গায় একত্রিত বা একীভূত করার সুপারিশ করেছি। সুপিরিয়র এঙিকিউটিভ সার্ভিস গঠন করার সুপারিশ করেছি। যাতে শীর্ষ পর্যায়ে যাওয়ার সুযোগ সবার হয়। বাইর থেকেও অর্থাৎ বিদেশে অবস্থান করছেএমন কোনো প্রতিভাবান যেন আসতে পারে। তিনি বলেন, উপসচিব পর্যায়ে পদন্নোতির ক্ষেত্রে এখন প্রশাসনিক সার্ভিসের জন্য ৭৫ শতাংশ কোটা আছে। আমরা এটাকে ৫০ শতাংশ করার সুপারিশ করেছি। অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ অন্যান্য সার্ভিসের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আমরা সচিব নিয়োগের ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভা কমিটির মাধ্যমে করার সুপারিশ করেছি। যাতে সরকার প্রধান এটা না করেন। বিধিবদ্ধ প্রশাসন, অর্থশিল্প ও বাণিজ্য, ভৌত অবকাঠামো ও যোগাযোগ, কৃষি ও পরিবেশ, মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়নএই পাঁচটি গুচ্ছে ভাগ করার সুপারিশ করার বিষয়টিও তুলে ধরেছেন তিনি। মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের পুনর্গঠনের কথা আমরা বলেছি। সেখানে মন্ত্রণালয়ে আলাদা হয়ে যাবে। এর অধীনে আয়কর, শুল্কআবগারি এবং মূল্য সংযোজন কর তিনটা অধিদপ্তর হবে।

সাবরেজিস্ট্রি অফিস ভূমি মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার সুপারিশ : জনদুর্ভোগ ও জটিলতা কমাতে ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিসকে (সাবরেজিস্ট্রি অফিস) ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। কমিশনের প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ‘ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিস সংস্কার’ শিরোনামে সুপারিশ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিস বর্তমানে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে থাকে। অন্যদিকে, ভূমি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিভিন্ন অফিস ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে।

ভূমি ব্যবস্থাপনা ও হস্তান্তর সংক্রান্ত দুটি আলাদা অফিস থাকায় জনদুর্ভোগ ও জটিলতা বাড়ে। এমতাবস্থায় এরূপ দ্বৈত ব্যবস্থাপনা বাতিল করে ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিসকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করার জন্য সুপারিশ করা হলো। সাবরেজিস্ট্রি অফিসকে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে জমি কেনাবেচা রেজিস্ট্রি করার ক্ষেত্রে উপজেলা ভূমি অফিস ও সাবরেজিস্ট্রি অফিসের মধ্যে সমন্বয় সাধন সঠিকভাবে হয় না।

সাম্প্রতিককালে ভূমি অফিসে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করা হলেও সাবরেজিস্ট্রি অফিস এখন পর্যন্ত ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আসেনি। এ পরিস্থিতিতে দুটি অফিসকে অবিলম্বে একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনে সাবরেজিস্ট্রি অফিসকেও ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় এনে একটিকে আরেকটির সঙ্গে সংযোগ করে দিতে হবে যাতে জমি সংক্রান্ত তথ্য উভয়ের কাজে সহজলভ্য হয়।

বিচার বিভাগ সংস্কার : বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস, স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা, বিভাগীয় শহরে হাই কোর্ট ডিভিশনের স্থায়ী বেঞ্চ, জেলা আদালতকে সম্প্রসারিত করে উপজেলা পর্যায়ে এবং আদালত অঙ্গন দলীয়করণ মুক্ত রাখতে একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা প্রতিবেদন জমা দেন।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক বলেন, ৩৫২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। বিচার বিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং কার্যকরভাবে প্রতিষ্ঠার জন্যে ৩২টি অধ্যায়ে সার্বিক সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। তিনি বলেন, প্রধান দিকটা হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক কিছু বিষয় রয়েছে। এরমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান যে সাংবিধানিক অবস্থা এবং অধস্তন আদালতের সাংবিধানিক অবস্থা নিয়ে বেশকিছু অ্যামেন্ডমেন্ট সাজেস্ট করেছি আমরা স্বাধীনতাকে এনসিউর করার জন্য। নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে বেশকিছু প্রস্তাব রাখা হয়েছে বলে জানান বিচারপতি এমদাদুল হক। তিনি বলেন, যাতে স্বচ্ছতার সাথে, দক্ষতার সাথে এবং আনকোয়েশ্চনেবল ওয়েতে বিচার বিভাগ এবং বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট যারা সহায়ক গোষ্ঠী রয়েছেন, তারা কাজ করতে পারেন, সেজন্য সংস্কার সুপারিশ করেছি। জনবল সেক্ষেত্রে মেইন ওয়ার্কিং ফোর্স রয়েছে।

মামলা ব্যবস্থাপনায় স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস এবং স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রপোজ করেছি, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করা হোক। যাতে করে উইদাউট অ্যানি এমপ্লয়ার্স এই অ্যাটর্নি সার্ভিসের মেম্বার যারা, তারা কেইসটা কোর্টে প্রেজেন্ট করতে পারে। কোর্টের সামনে যে ম্যাটারিয়ালগুলো প্রডিউস করা হচ্ছে সেগুলো কালেকশনের বড় একটা অংশের দায়িত্ব হচ্ছে বর্তমানে পুলিশের। যেখানে নানা ধরনের ইনফ্লুয়েন্সের অভিযোগ আছে। যে কারণে পুলিশের, তথা টোটাল বিচার প্রক্রিয়ার অ্যাকসেপটিবিলিটি, ক্রেডিবিলিটি নিয়ে প্রশ্ন আছে। এজন্য স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা গঠন করার কথা বলেছি।

এসব সুপারিশ কার্যকর করতে গেলে বেশকিছু প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন দরকার উল্লেখ করে সংস্কার কমিশনের এ সদস্য বলেন, সেটা হচ্ছে আদালত বিকেন্দ্রীকরণ করা লাগবে। মানুষের দোরগোড়ায় আমরা যদি আদালত ব্যবস্থাকে না পৌঁছাতে পারি তাহলে বিচার বিভাগ কার্যকর হবে। সেজন্য দুটো পরিবর্তন সাজেস্ট করেছি। একটা হচ্ছেহাই কোর্ট ডিভিশনের স্থায়ী বেঞ্চ গঠন করতে হবে প্রত্যেকটা বিভাগীয় শহরে। এজন্য কন্সটিটিউশন অ্যামেন্ডমেন্ট প্রয়োজন। ডিসট্রিক্ট কোর্টকে আরেকটু সম্প্রসারিত করতে হবে; সেটা উপজেলা পযায়ে আমরা সাজেস্ট করেছি।

প্রাতিষ্ঠানিক দিক কার্যকর হলে অবকাঠামোগত বা ভৌত অবকাঠামো তৈরির বিষয়টিও্েরপতিবেদনে তুলে ধরেছে কমিশন। গরীব মানুষ বিচার পায় না মন্তব্য করে বিচারপতি এমদাদুল হক বলেন, সেজন্য চলমান আইনগত সহায়তার কাজটা সম্প্রসারণ করার সুপারিশ করা হয়েছে, যাতে সবাই যেন (বিচার) পায়। মামলার দীর্ঘসূত্রতা ও অন্যান্য অসুবিধা নিরসনে বিকল্পবিরোধ নিষ্পত্তি কীভাবে বাংলাদেশে কার্যকর করা যায় সেজন্য প্রপোজাল করেছি।

কমিশনের এ সদস্য বলেন, দলীয়করণ দূর করতে আইনজীবীদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড কীভাবে কোর্টের বাইরে যাতে থাকতে পারে সে বিষয়ে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। আইনি শিক্ষায় মেডিকেলের মতো ভালো শিক্ষার্থীরা যাতে আসে সেজন্য ‘সেন্ট্রাল মেকানিজমের’ পরামর্শসহ বেশকিছু প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ
পরবর্তী নিবন্ধবন্দর-পোর্ট কানেক্টিং রোড এলাকা স্থবির, দুর্ভোগ