মনোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগিতা চাইলেন মেয়র

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সাথে বৈঠক

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

মনোরেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নগরের গণপরিবহন ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে মন্তব্য করে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। গতকাল বুধবার টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সহযোগিতা চান মেয়র। এসময় উপস্থিত ছিলেন গ্রেটার চিটাগাং ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী।

এসময় মেয়র বলেন, . আনিসুজ্জামান চৌধুরী চট্টগ্রামের একজন কৃতী সন্তান। এজন্য চট্টগ্রামের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এ প্রকল্পটি যাতে দ্রুত বাস্তবায়িত হয় সে জন্য আপনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সরকারের নীতিনির্ধারকদের কার্যকর ভূমিকা ও সহযোগিতা কামনা করছি।

এসময় ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী মনোরেল প্রকল্পে আন্তর্জাতিক মানের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, দেশের অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে ধারণাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ যুক্ত হলে প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

বৈঠকে জানানো হয়, গত ২৪ জুন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে আরব কনস্ট্রাক্টর ও ওরাসকম পেনিনসুলা কনসোটিয়ামে চট্টগ্রামে মনোরেল স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই ও বাস্তবায়ন বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। পরদিন ২৫ জুন বিডা’র কাছে এ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই ও বাস্তবায়নে সহযোগিতা চেয়ে পত্র পাঠানো হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে বিডা স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে সহযোগিতা চেয়ে পত্র দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ২১ অক্টোবর চসিককে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সর্বশেষ ১৬ নভেম্বর বিডা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে তাগাদা পত্র প্রদান করে।

বৈঠকে নগরের জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি সম্পর্কে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী খোঁজ নেন এবং পরামর্শ দেন। জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগে চলতি বছরে নগরীর জলাবদ্ধতা প্রায় ৬০ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়েছে। তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য নগরীর ২১টি খাল খনন ও সংস্কারের জন্য একটি ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে। প্রকল্পটি পাসে আপনার সহযোগিতা কামনা করছি।

এছাড়া মেয়র নগরীর ডোরটুডোর বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রমের অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন। তিনি জানান, ৪১টি ওয়ার্ডে প্রতিনিধি নিয়োগের ফলে প্রতিদিন অতিরিক্ত প্রায় ৫০০ টন বর্জ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ সেবাটি বিনামূল্যে করার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা বাস্তবায়নে সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপির ৪ ও জামায়াতের ৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
পরবর্তী নিবন্ধদেশে ষড়যন্ত্র থেমে নেই, দরকার ঐক্য