নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেও জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে এখন পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন ফরম নেননি দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ও অনুসারীরা। মনোনয়ন ফরম নেননি সাদ এরশাদও। গতকাল শুক্রবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, বেগম রওশন এরশাদ ও সাদ এরশাদ এখনো মনোনয়ন ফরম নেননি। জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠায় রওশন এরশাদের অনেক অবদান ও ত্যাগ আছে। তিনি নির্বাচন করলে, আমরা তাকে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করব। তিনি আরও বলেন, বেগম রওশন এরশাদ গতকাল আমাকে ফোন করেছিলেন। হরতাল ও অবরোধের কারণে আমাদের অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকায় আসতে পারেনি। তাদের জন্য ফরম বিতরণের সময় একদিন (আজ) বাড়ানো হয়েছে। রওশন এরশাদের জন্য কোনো সময়ের বাধ্যবাধকতা নেই। তিনি যখন বলবেন, তখনই মনোনয়ন ফরম দেওয়া হবে। বেগম রওশন এরশাদ চাইলে, মনোনয়ন ফরম তার বাসায় পৌঁছে দেব। তিনি আমাদের শ্রদ্ধাভাজন।
পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই জানিয়ে জাপা মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টিতে পন্থী একটাই, আমরা সবাই এরশাদপন্থী। আর তার চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় পার্টি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের এমপির সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো–চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো–চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (মেয়র), প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত। আজ বেলা ১১টা থেকে খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১ হাজার ৭৫২ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। ২০ নভেম্বর ৫৫৭টি, ২১ নভেম্বর ৬২২টি, ২২ নভেম্বর ৩৩১টি, ২৩ নভেম্বর ২২৭টি এবং আজ ২৪ নভেম্বর ১৫টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়।