সংগীতশিল্পী মনি কিশোর অসুস্থাজনিত কারণেই মারা গেছেন বলে ধারণা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। তিনি রাজধানীর পূর্ব রামপুরার টিভি রোডের একটি পাঁচতলা বাড়ির তৃতীয় তলার বাসায় একাই থাকতেন। পুলিশ বলছে, মরদেহ উদ্ধারের দুই–তিন আগে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। বাংলানিউজের।
গত রোববার রামপুরা থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান বলেন, গত শনিবার খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাসার দরজা ভেঙে খাটের ওপর থেকে সংগীতশিল্পী মনি কিশোরের পচনশীল মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ধারণা করা হচ্ছে, অসুস্থতাজনিত কারণে মনি কিশোরের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তার স্ত্রীর সঙ্গে অনেক আগেই বিচ্ছেদ হয়েছে। একমাত্র মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। মনি কিশোর ওই বাসায় একাই থাকতেন। এসআই জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান আকন্দ জানান, যেহেতু দরজা ভেঙে খাটের ওপর থেকে সংগীতশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা করা হয়েছে, তাই ধারণা করা হচ্ছে, তিনি অসুস্থতাজনিত কারণে মারা গেছেন। মরদেহটি পচনশীল ছিল। মনে হচ্ছে, মরদেহ উদ্ধারের দুই–তিন দিন আগে তিনি মারা গেছেন।১৯৯০ এর দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনি কিশোর পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। রেডিও, টিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী হলেও গান গেয়েছেন অল্প। সিনেমায়ও তেমন গাননি। মূলত অডিওতে চুটিয়ে কাজ করেছেন। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘কী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তার সবচেয়ে শ্রোতাপ্রিয় গান ‘কী ছিলে আমার’ তারই সুর করা, তারই লেখা। ২০টির মতো গান লিখেছেন ও সুর করেছেন মনি কিশোর।