জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেছেন, প্রতি বছর রমজানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টাস্কফোর্সের যৌথ বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকায় এবারের রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। নগরীর বিভিন্ন বাজারে প্রতিদিন ৪টি করে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ফলে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট পালিয়েছে। আমাদের পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানগুলো পাইকারি ও খুচরা বাজারে একযোগে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
গতকাল রোববার সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পবিত্র ঈদের কেনাকাটা, বাসা–বাড়ির নিরাপত্তা ও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়কে যানজট নিরসনসহ সার্বিক ব্যবস্থা নিশ্চিতে প্রশাসন ও আইন–শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। সড়কে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আরো সময়োপযোগী করা হবে। যেকোনো ঝুঁকি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত। জেলাভিত্তিক কার্যক্রমগুলো মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার সার্বিক উন্নয়নে আমরা সকলে মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করব। সরকারি প্রত্যেক দপ্তরকে সংস্কারের আওতায় এনে মেধা, দক্ষতা ও সততা দিয়ে আমাদের কার্যক্রমগুলো সুনিশ্চিত করব, যাতে সন্তোষজনক হয়। এজন্য সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। জাকাত প্রসঙ্গে ডিসি বলেন, যাকাত আদায়ে চট্টগ্রাম জেলা এগিয়ে আছে। একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী যাকাত ফান্ডে ৬০ লাখ টাকা দিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। অন্যরাও এগিয়ে আসছেন। পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে এই রমজানেই নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করে খোলা জায়গায় জাকাত প্রদান করা হবে। আগামী সমন্বয় সভার পূর্বে জেলা–উপজেলার প্রত্যেক মডেল মসজিদ চালু করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দিদারুল আলম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার উপপরিচালক মোহাম্মদ আবদুচ ছোবহান, পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলার উপপরিচালক বেগম সাহান ওয়াজ, সিএমপির অতিরিক্ত উপ–কমিশনার বাবুল চন্দ্র বণিক, জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট মো. আবু সোলায়মান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী (ফটিকছড়ি), মো. ফখরুল ইসলাম (সীতাকুণ্ড), মাহফুজা জেরিন (মীরসরাই), এবিএম মশিউজ্জামান (হাটহাজারী), মো. রাজীব হোসেন (চন্দনাইশ), ইনামুল হাছান (লোহাগাড়া), মাসুমা জান্নাত (কর্ণফুলী), তাহমিনা আকতার (আনোয়ারা), জিসান বিন মাজেদ (রাউজান), মাহমুদুল হাসান (রাঙ্গুনিয়া), রিগ্যান চাকমা (সন্দ্বীপ), মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ (বোয়ালখালী), জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ–পরিচালক মো. ফরিদুল আলম, বিআরডিবির উপ–পরিচালক মোশাররফ হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম খীসা, জেলা মহিলা বিষয়ক উপ–পরিচালক আতিয়া চৌধুরী, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. মোছলেহ উদ্দিন, বিএডিসির সহকারী পরিচালক থঅংপ্র মারমা, জেলা সমবায় কর্মকর্তা গাজী মু. ওমর ফারুক চৌধুরী, সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুন্তী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মীর মুহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ, কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. কাওছার, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা সিতারাই ফেরদৌস প্রমুখ।