জীবনটা স্রোতের মতো। আপনি প্রতিযোগিতায় জড়াতে চান কিংবা না চান চারপাশের মানুষগুলো আপনাকে কোনো না কোনোভাবে জড়িয়ে নেবে! এতে বিরক্ত হওয়ার কিছু নেই। কেননা বিরক্তিতে ব্যক্তিগত ক্ষতি হতে পারে।বরং স্রোত যদি অনুকূলে থাকে তবে তো ভালোই যদি প্রতিকূলে থাকে তবে প্রথমে জলের সাথে মিশে যেতে হবে। অতঃপর নিজের সাঁতারের কলাকৌশল প্রয়োগ করে সে ধাপ অতিক্রম করতে হবে।এখানে যদি স্রোতের প্রতিকূল পরিবেশ কেন হল তা নিয়ে আমরা আক্ষেপ করতে থাকি তবে প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওঠা তো সম্ভব হবেই না।বরং নেতিবাচকতা আমাদের ক্রমে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ফেলবে! প্রবল স্রোতে নিজে হারিয়ে ফেলা ছাড়া কূল কিনারা খুঁজে পাওয়ার সময় থাকবে না।যদিও কাজটা সহজ নয় কিন্তু আমরা অজান্তেই শৈশব থেকে এসব ধাপ অতিক্রম করে এসে চলেছি।সামনে হয়ত আরো বড় ঢেউ আসবে সে সব সামলে ওঠার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে নিচ্ছি প্রতিনিয়ত।এর মাঝে আমাদের ভিতরকার স্বীয় সুখ খুঁজে নিচ্ছি। জীবনের প্রতিটি কাজ আমরা পারতপক্ষে সুখের জন্যেই করে চলেছি।নিজেকে ভালো রাখা সবচাইতে জরুরি। ঝড় আসতেই পারে জীবনে কিন্তু এতে নিজের কর্মে অবিচল থেকে নিজের আনন্দটাকে মূল্যায়ন করুন! আনন্দিত মন জীবনের যেকোনো সিদ্ধান্তকে সহজ করে দিতে পারে! আশেপাশের মানুষজনের আপনার সবকিছু ভাল নাও লাগতে পারে! এতে আসলে আমাদের কিছু করার থাকে না।বরং স্রোতের বিপরীতে চলতে গেলে নানা বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়! এরই মাঝে নিজের মধ্যে বিনয়ের চর্চা করা অনেক কষ্টসাধ্য।তবুও আমাদের চালিয়ে যেতে হয় জীবনের সাথে। কারণ জীবনটা সুন্দর।কারো জন্য নিজের সুন্দর মনটাকে প্রভাবিত হতে দেবেন না।আপনার মনের রক্ষক আপনিই।আর কেউ নন।নিজেকে সুস্থ রাখুন।সুন্দরভাবে বাঁচুন। নিজের ভালোলাগাকে গুরুত্ব দিন। আত্মমর্যাদা রক্ষায় কোনোভাবে ছাড় দেবেন না। নিজেকে ভালো রাখতে জানলে সত্যিই জীবন কারো জন্য থেমে থাকবে না। মনজগত উতফুল্ল রাখুন, সুস্থ চিন্তাধারায় সজীবতার সুবাস ছড়ান।
লেখক: শিক্ষক