নগরীর ২১ নং জামালখান ওয়ার্ড কার্যালয় ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাত সোয়া ১১টায় ৪র্থ তলায় ওয়ার্ড কার্যালয়ের অনলাইন অফিস ও মশক নিধন কার্যক্রমের স্টোর রুমে আগুনের সূত্রপাত হয়। মশক নিধন কার্যক্রমের ফগার মেশিন ও মেশিনের তেলসহ কেমিক্যাল যে রুমে ছিল সেই রুমে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানান অগ্নিকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্ন তত্ত্বাবধায়ক রিপন কিশোর রায়।
যে রুম থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত তখন সেই রুমে ছিলেন পরিচ্ছন্ন তত্ত্বাবধায়ক রিপন ও পিয়ন নয়ন মিয়া। আগুন লাগার সাথে সাথে তারা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। ওই রুমে ডিজেল ও কেরোসিন থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় রিপনের পরনের প্যান্টেও আগুন লাগে। তিনি দ্রুত প্যান্ট খুলে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে যান। তিনি সামান্য আহত হন। পিয়ন নয়ন নামতে পারেননি। এ সময় তিনি সামনের বারান্দায় এসে তাকে বাঁচানোর জন্য চিৎকার করতে থাকেন। নিচে থেকে লোকজন দ্রুত ছুটে এসে উপরে রশি ছুড়ে দেয়। নয়ন ভবনের পেছনে গ্রিলের সাথে রশি বেঁধে নিচে নেমে আসেন। আগুনে ওয়ার্ড কার্যালয়ের অনলাইন অফিসের কম্পিউটারসহ সকল আসবারপত্র ও মশক নিধন কার্যক্রমের ফগার মেশিনসহ অফিসের অন্যান্য সামগ্রী পুড়ে গেছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সাথে সাথে ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে ছুটে আসেন জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন। এ সময় তিনি ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করেন।
রাত সোয়া ১১টার দিকে আগুন লাগার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করা হয়। তারা ১১টা ৩৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নির্বাপণের চেষ্টা করে। নন্দনকানন ও চন্দনপুরার দুটি ইউনিট থেকে তিনটি গাড়ি এসে রাত ১২টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওয়ার্ড অফিস সহকারী আবদুল কুদ্দুস বলেন, তৃতীয়তলা কাউন্সিলর কার্যালয় রক্ষা পেয়েছে। আগুন তৃতীয়তলায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষতি হতো। ফায়ার সার্ভিস ঠিক সময়ে আসলে এত ক্ষতি হতো না। ৪র্থ তলায় আমাদের অনলাইন জন্মনিবন্ধনসহ সকল অনলাইনের কাজ চলে। সেখানে কম্পিউটারসহ সবকিছু পুড়ে গেছে।
