বর্তমান সময়ের আর্থিক সংকটে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত হচ্ছে মধ্যবিত্ত শ্রেণি। তারা না পারছে কারো কাছে সাহায্য চাইতে, না পারছে সংকট সামাল দিতে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, বাড়তি শিক্ষাব্যয়, চিকিৎসার খরচ সবকিছুই তাদের জীবনযাত্রা কঠিন করে তুলছে। সমাজের এই শ্রেণি চুপচাপ সহ্য করলেও ভেতরে ভেতরে তারা চরম মানসিক চাপ ও হতাশায় ভুগছে। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যেমন কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন, তেমনি সমাজের অন্যান্য শ্রেণিরও উচিত মধ্যবিত্তদের পাশে দাঁড়ানো এবং সচেতন হওয়া। কারণ তারা ধ্বসে গেলে দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্যও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মধ্যবিত্ত শ্রেণির এই নীরব দুর্দশায় সমাজের বিত্তবানদের রয়েছে বড় একটি দায়িত্ব। তারা চাইলে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী পাশে দাঁড়িয়ে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারকে আশার আলো দেখাতে পারেন। বিত্তবানরা তাদের অপ্রয়োজনীয় খরচ কিছুটা কমিয়ে শিক্ষা, চিকিৎসা বা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে সহায়তা দিতে পারেন। পাশাপাশি, সমাজে একটি সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে যাতে মধ্যবিত্তদের সম্মানহানী না করে গোপনে কিংবা সম্মানের সঙ্গে সাহায্য করা যায়। চাকরির সুযোগ, ক্ষুদ্র বিনিয়োগ বা কম খরচে সেবা প্রদান এই উদ্যোগগুলোও বড় উপকারে আসতে পারে। বিত্তবানদের মানবিক উদ্যোগই হতে পারে মধ্যবিত্ত সমাজের জন্য সত্যিকারের আশ্রয়।












