মধুবনের ইফতার স্বাদ ও মানে অনন্য

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৪ মার্চ, ২০২৫ at ৬:০০ পূর্বাহ্ণ

রোজার মাস এলেই চট্টগ্রামের ইফতার বাজারে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানে ভিড় জমে ইফতারপ্রেমীদের। ইফতার আয়োজনে যে ক’টা মিষ্টি বিপণি বিতান রোজাদারদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে তার মধ্যে মধুবন অন্যতম। আভিজাত্য, স্বাদ ও মানের সমন্বয়ে মধুবনের মুখরোচক ইফতার আইটেমগুলো রোজাদারদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। প্রতিদিন বিকেল গড়াতেই নগরীর বিভিন্ন আউটলেটে ইফতার সামগ্রী কিনতে ভিড় জমায় ক্রেতারা। ক্রেতাদের মতে, শুধু স্বাদের জন্যই নয়, খাবারের পরিচ্ছন্নতা ও মান বজায় রাখার কারণেও মধুবনের প্রতি আস্থা রয়েছে। শর্মা, মাহলাবিয়া, হালিমের পাশাপাশি নতুন মাংস পদও চমৎকার। দামও হাতের নাগালে।

রোজাদারদের বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মধুবনের শর্মা, মাহলাবিয়া ও স্পেশাল হালিম। সুস্বাদু ও মানসম্পন্ন এসব খাবার পাওয়া যাচ্ছে তুলনামূলক হাতের নাগালে দামে, যা ক্রেতাদের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের পেঁয়াজু, বেগুনি, ছোলা, জিলাপি ইত্যাদির চাহিদা বেশি থাকে। তবে, এবারের মেনুতে এসেছে নতুন মাত্রা। ক্রেতাদের রুচির পরিবর্তনের কারণে এবার মাংসজাতীয় খাবারের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তাই মধুবনও ইফতার আয়োজনে এনেছে নানা স্বাদের মাংসের বিশেষ পদ। এছাড়াও ইফতার মেনুতে রয়েছে, শাহী জিলাপি, রেশমি জিলাপি, জিলাপি, চনা, পিয়াজু, বেগুনী, আলুর চপ, পাকোড়া, গুড়ি, এগ পটেটো চপ, সামী কাবাব, জালী কাবাব, ফিস কাবাব, চিকেন টিক্কা কাবাব, ফ্রাই, ফিস ফিঙ্গার, ড্রাম স্টিক, সিংগারা, রোল, চমুছা, সাসলিক, গ্রীল, রোস্ট, চিকেন চপ, ইরানী কাবাব, কেনাপি, মাশরুম, কোপ্তা, শাক বরা, মরিচা, পটেটু চপ, মিনি পাকুরা। কয়েকটি আউটলেট ঘুরে দেখা যায়, দুপুরের পর থেকেই ইফতার কিনতে ভোজনরসিকদের ভিড় জমে। বিক্রয়কর্মীরা জানান, শর্মা, মাহলাবিয়া ও স্পেশাল হালিমের স্টলগুলোর সামনে সবচেয়ে বেশি ভিড় থাকে। অনেক ক্রেতাই আগে থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন, যাতে পছন্দের আইটেম শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই সংগ্রহ করতে পারেন। তেলেভাজা খাবারের পাশাপাশি এবার মাংসজাতীয় বিশেষ পদগুলোর চাহিদা বেড়ে গেছে, যা ইফতারপ্রেমীদের মধ্যে নতুন আকর্ষণ তৈরি করেছে।

মধুবন গোল পাহাড় মোড় আউটলেটের মালিক কাজী শিবলী জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও মধুবন রমজানে ভিন্নধর্মী ইফতার আয়োজন করেছে। রমজানকে আরও প্রাণবন্ত করতে প্রায় ৪০ পদের ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী ও বিশেষ খাবার রয়েছে।

তিনি বলেন, শর্মা, ফিরনি, চিকেন পরটা ও মাহলাবিয়া সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ক্রেতাদের চাহিদার কারণে এসব আইটেম দ্রুত বিক্রি হয়ে যায়। এছাড়া, অন্যান্য মাংসজাতীয় খাবারের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেড়েছে বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমান বাজারে কোটি টাকার অবৈধ সিগারেট জব্দ, আটক ২
পরবর্তী নিবন্ধএক দশক পর স্থায়ী ক্যাম্পাস পাচ্ছে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ