ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সম্পদের খোঁজে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রোববার দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। দুদক সূত্র জানায়, মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের তথ্য চেয়ে এনবিআর, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), নিবন্ধন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে চিঠি দিয়েছে দুদক। এর আগে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৪ জুন মতিউর রহমান, তার স্ত্রী উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ এবং ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আর মতিউরের স্ত্রী লায়লা কানিজ বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার প্রত্যাহার চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন। খবর বাংলানিউজ ও বিডিনিউজের।
কোরবানির ঈদে ঢাকার সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকার একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনার জন্ম দেন মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত। তবে শুরুতে ইফাতকে ছেলে হিসেবে অস্বীকার করেন মতিউর। এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ইফাত নামে আমার কোনো ছেলে নেই। এমনকি আত্মীয় বা পরিচিতও কেউ নন। আমার একমাত্র ছেলের নাম তৌফিকুর রহমান। একটি গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। সামাজিক মাধ্যমে আমার ছবি ও নাম ব্যবহার করায় আমি বিব্রত। আমি আইনি পদক্ষেপে যাব।
এসব ঘটনা আলোচনায় আসার পর মতিউর রহমানকে কাস্টমস, এঙসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে প্রত্যাহার করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও অপসারণ করা হয়।
বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়ে স্ত্রীর আবেদন : মতিউর রহমানের স্ত্রী উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার প্রত্যাহার চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন। গতকাল ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে তার আবেদনের পর বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ বিষয়ে আগামী ২৭ জুলাই শুনানির তারিখ রেখেছেন।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ তার আইনজীবী আসাদুজ্জামানের মাধ্যমে এ আবেদন করেন।
দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, লায়লা কানিজ ও তার স্বামী মতিউরের বিরুদ্ধে দুদকের বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান। এ অবস্থায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো আইনি সুযোগ নেই বলে আদালতে তুলে ধরা হয়। আদালত পরে এ বিষয়ে ২৭ জুলাই শুনানির দিন রেখেছেন।