মণীন্দ্রলাল বসু (১৮৯৭–১৯৭৬)। লেখক ও ঔপন্যাসিক। তিনি বিশিষ্ট রোমান্টিক উপন্যাস ‘রমলা’র জন্য জনপ্রিয়তা লাভ করেন। মণীন্দ্রলাল বসুর জন্ম ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ৮ই জুন বৃটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়। পিতা ছিলেন মুনসেফ প্রবোধচন্দ্র বসু এবং মাতা ইন্দিরাসুন্দরী। তাঁদের আদি নিবাস ছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার চাংড়িপোতা। তার পড়াশোনা ব্রাহ্ম বয়েজ স্কুল, হেয়ার স্কুল ও প্রেসিডেন্সি কলেজে। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ. পাসের পর ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে আইন বিষয়ে বি.এল. পাস করে কিছুদিন হাইকোর্টে আইন ব্যবসা করেন। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি উচ্চ শিক্ষার্থে ইউরোপ যাত্রা করেন। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে ব্যারিস্টারি পাস করে দেশে ফেরেন ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে। তিনি পেশায় ব্যারিস্টার হলেও, সাহিত্যচর্চায় তার প্রবল আগ্রহ ছিল। ছোট গল্প দিয়ে লেখা শুরু করেছিলেন। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা পাঠাতেন। প্রবাসী পত্রিকায় একাধিকবার গল্প প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম পুরস্কার লাভ করেছেন। আর এই প্রবাসী পত্রিকাতেই ১৩২৯ –৩০ বঙ্গাব্দে ধারাবাহিকভাবে তার রোমান্টিক উপন্যাস ‘রমলা’ প্রকাশিত হয়েছিল। তার রচিত অপর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হচ্ছে– ‘জীবনায়ন’, ‘সহযাত্রিণী’, ‘স্বপ্ন’, ‘মায়াপুরী’, ‘রক্তকমল’, ‘সোনার হরিণ, ‘কল্পলতা’, ‘ঋতুপর্ণ’ ‘সোনার কাঠি’ – শিশু ও কিশোরদের জন্য গল্পগ্রন্থ। তিনি শিশুদের জন্য পাঠ্যপুস্তকও রচনা করেছেন। কয়েকটি অনুবাদগ্রন্থও আছে তার। তাছাড়া ইউরোপে অবস্থান কালে সেখানকার চিত্রশিল্প বিষয় নিয়ে লিখেছেন ‘ইউরোপের চিত্রশালা’। ১৩৫১ বঙ্গাব্দে মণীন্দ্রলাল অর্থনীতি বিষয়ক পত্রিকা ‘পরিকল্পনা’র সম্পাদনা করতেন। মণীন্দ্রলাল বসু ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২২শে জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।