মডেল মেঘনার গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া ঠিক ছিল না : আইন উপদেষ্টা

কেন মুক্তি নয়, জানতে চায় হাই কোর্ট

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ১৪ এপ্রিল, ২০২৫ at ৬:৪৯ পূর্বাহ্ণ

মডেল মেঘনা আলমকে রাতে যে প্রক্রিয়ায় বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা ঠিক ছিল না বলে স্বীকার করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। গতকাল রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা স্বীকার করছি গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি। গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি মানে উনার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের আলামত বা অভিযোগ নেই, সেটি নয়। সেটির ব্যাপারে করণীয় কী আছে, সে বিষয়ে অচিরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

গত বুধবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মেঘনাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। আটকের কিছু আগে মেঘনা ফেইসবুক এসে অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশ পরিচয়ে কিছু লোক তাকে ধরার জন্য দরজা ভাঙার চেষ্টা করছে। আটকের পর বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। পরে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেয় আদালত। মডেল ও মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মেঘনা আলম ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর মিস আর্থ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। খবর বিডিনিউজের।

সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিকভাবে হয়রানিমূলক ৭ হাজার ১৮৪টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়। এছাড়া শিশু আছিয়া ধর্ষণ মামলার চার্জশিট চূড়ান্ত করা হয়েছে। ডিএনএ টেষ্টে প্রমাণ মিলেছে বিধায় ৯০ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে মামলার রায় দেওয়া সম্ভব হবে।

মেঘনাকে কেন মুক্তি নয়, জানতে চায় হাই কোর্ট : বিশেষ ক্ষমতা আইনে মডেল মেঘনা আলমের আটকাদেশকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং তাকে মুক্তির কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট। এছাড়া তাকে যে প্রক্রিয়ায় বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে তা অসাংবিধানিক ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থি কেন নয় তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। গতকাল এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয় বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদির হাই কোর্ট বেঞ্চ। দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, আইজিপিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এদিন মেঘনা আলমের আটকাদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন তার বাবা বদরুল আলম। পরে তা শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন।

রিট আবেদনকারীর অন্যতম আইনজীবী কাজী জাহেদ ইকবাল বলেন, মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তাহলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু বিশেষ ক্ষমতা আইনে কেন আটকাদেশ দেওয়া হলো? আমরা মনে করি, একটা অস্পষ্ট অভিযোগের ওপর ভর করে তাকে আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ কারণে এই আটকাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

সরিয়ে দেয়া হলো ডিবি প্রধানকে : ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিবি প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিককে। গত শনিবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে ডিএমপি সদর দপ্তরের সংযুক্ত করার কথা জানানো হয়। নববর্ষের আগের দিন গতকাল সকালে রমনায় পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের ব্রিফিংয়ে দেখা যায়নি রেজাউল করিম মল্লিককে। ১৭তম বিসিএসের এ কর্মকতা গত ১ সেপ্টেম্বর ডিএমপির ডিবি প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফুটপাত ও সড়ক দখল, ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধসিআইইউতে গণযোগাযোগ বিষয়ক কর্মশালা