মজার চিড়িয়াখানা

দাঊদ আরমান | বুধবার , ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৮:৪৫ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রে একটি চিড়িয়াখানা রয়েছে যেখানে বনের রাজা সিংহ গর্জন করে, পেঙ্গুইনরা বরফে লাফালাফি করে আর রঙিন পাখিরা ডানার ঝাপটায় জাদুর মতো রঙ ছড়িয়ে দেয়। এই বিস্ময়কর চিড়িয়াখানার নাম হেনরি ডোরলি জুযেটি যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের ওমাহা শহরে অবস্থিত। চিড়িয়াখানাটিতে বাস করে প্রায় ৯৬০ প্রজাতির ১৭ হাজার প্রাণী।

এখানে রয়েছে রহস্যময় অরণ্য, মরুভূমি, গভীর সমুদ্রের জগৎ আর হাজারো প্রজাতির প্রাণী। এই চিড়িয়াখানার বিশেষত্ব হলো এর থিমভিত্তিক পরিবেশ। কল্পনার ডানা মেলে প্রস্তুত হও কারণ আমরা চলেছি হেনরি ডোরলি জুতে এক মজার অভিযানে।

ডোমিনিকান রেইনফরেস্ট:

এই চিড়িয়াখানার ডোমিনিকান রেইনফরেস্টকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইনডোর জঙ্গল। এখানে গেলে তোমরা দেখতে পাবে সবুজের মাঝে বানর লাফাচ্ছে, রঙিন টোকান পাখি ডাকছে এবং ভয়ঙ্কর বাঘ তাদের গর্জন শোনাচ্ছে। সরু কাঠের সেতু পাড়ি দিতে দিতে অনুভব করবে সত্যিকারের জঙ্গল অভিযানের রোমাঞ্চ।

ডেজার্ট ডোম: তোমরা কি মরুভূমি দেখতে চাও? হেনরি ডোরলি জুতে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইনডোর মরুভূমি। এখানে উট, মেয়ারক্যাট আর মরুভূমির অন্যান্য প্রাণীদের দেখতে পাবে। বিশাল ক্যাকটাস আর বালুকাময় পরিবেশে হাঁটলে মনে হবে মরুভূমির মাঝে হারিয়ে গিয়েছো।

অ্যাকোয়ারিয়াম: গভীর সমুদ্রের রহস্য দেখতে চাইলে চিড়িয়াখানায় তোমাদের জন্য রয়েছে বিশাল অ্যাকোয়ারিয়াম। সেখানে হাঙর মাছ, ক্লাউনফিশ আর বিশাল স্টিংরে দেখে মনে হবে তোমরা সাগরের গভীরে ডুব দিয়েছো।

ক্যাট কমপ্লেক্স: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্যাট কমপ্লেক্সও এখানে। বাঘ, চিতা আর সিংহের দল যেন তাদের সাম্রাজ্য নিয়ে রাজত্ব করছে। তাদের দৌড়ানো, বিশ্রাম নেয়া আর শিকার করার দৃশ্য দেখে মনে হবে জঙ্গলে চলে এসেছো।

আরোশা সাফারি: আফ্রিকার বন্যজীবনের সৌন্দর্য দেখতে চাইলে এই অংশটি তোমাদের জন্য। এখানে জিরাফ, জেব্রা, হাতি এবং হরিণ দেখতে পারবে। মনে হবে আফ্রিকার সাফারিতে ঘুরে বেড়াচ্ছো।

হেনরি ডোরলি চিড়িয়াখানায় আরো রয়েছে ‘চিলড্রেন’স অ্যাডভেঞ্চার ট্রেইল’ যেখানে ছোট বন্ধুরা নিরাপদে খেলতে পারবে। আছে ‘বাটারফ্লাই হ্যাভেন’। এটি এমন একটি জায়গা যেখানে হাজার হাজার রঙিন প্রজাপতি তোমাদের চারপাশে উড়ে বেড়াবে।

বন্ধুরা, হেনরি ডোরলি চিড়িয়াখানা শুধু একটি চিড়িয়াখানা নয়; এটি এক আশ্চর্য জগৎ যেখানে প্রকৃতির সব সৌন্দর্য মিলেমিশে আছে। এখানে গেলে শুধু মজাই পাবে না, প্রাণীজগৎ সম্পর্কে অনেক কিছু শিখতেও পারবে। আলাদাভাবে জানতে পারবে চোখ ধাঁধানো প্রাণীজগতকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছাতিমফুলের মালা
পরবর্তী নিবন্ধআইনি সহায়তা সেবাকে সর্বত্র পৌঁছে দিতে হবে