পৃথিবীতে সময় বলা সহজ। অ্যাটোমিক ঘড়ির স্পন্দন, জিপিএস স্যাটেলাইটের নীরব ভেসেচলা ও দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে আমাদের সব ঘড়িই নিখুঁতভাবে মিলিয়ে রাখা হয়। তবে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্ব অনুযায়ী, মহাবিশ্বের সব জায়গায় সময় একইভাবে এগোয় না। কারণ, কীভাবে ঘড়ি চলবে তার ওপর প্রভাব ফেলে মাধ্যাকর্ষণ ও গতি। এ কারণে সৌরজগতজুড়ে সময় মাপা অনেক বেশি জটিল হয়ে ওঠে। বিভিন্ন মহাকাশ সংস্থা যখন ভবিষ্যতের মঙ্গল গ্রহ অভিযানের পরিকল্পনা করছে ঠিক তখন এক বিস্ময়কর কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা: মঙ্গল গ্রহে এখন কয়টা বাজে? এখন পর্যন্ত এ প্রশ্নের সবচেয়ে সঠিক উত্তরটি গণনা করেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি বা এনআইএসটি’র পদার্থবিজ্ঞানীরা। তাদের নতুন গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নাল–এ। গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রতিদিন মঙ্গলের ঘড়ি পৃথিবীর ঘড়ির চেয়ে ৪৭৭ মাইক্রোসেকেন্ড দ্রুত চলে, অর্থাৎ এক মিলিয়নতম সেকেন্ডেরও কম। তবে এই পার্থক্য স্থির নয়। কারণ, মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথ একটু দীর্ঘাকৃতির এবং গ্রহটিতে সূর্য, পৃথিবী, চাঁদ ও অন্যান্য গ্রহের মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে থাকে। ফলে মঙ্গলবর্ষে সময়ের পার্থক্য সর্বোচ্চ ২২৬ মাইক্রোসেকেন্ড পর্যন্ত পরিবর্তিত হতে পারে। ২০২৪ সালে এনআইএসটি’র চাঁদে সময় কীভাবে চলে তা নিয়ে করা এক গবেষণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে নতুন গবেষণাটি।












