ফের একদিনের গণটিকা কার্যক্রম চলবে চট্টগ্রামে। মহানগরের ওয়ার্ড এবং উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এ গণটিকা দেয়া হবে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে প্রথম দফায় গত ৭ আগস্ট সারা দেশে গণটিকা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ওই দিনের গণটিকায় প্রথম ডোজ গ্রহীতাদের পরবর্তীতে ৭ সেপ্টেম্বর ২য় ডোজ দেয়া হয়। প্রথম দফার গণটিকা কার্যক্রমে সারা দেশে ৪৫ লাখ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছিল। তবে এবার ২৮ সেপ্টেম্বরের গণটিকায় সারা দেশে একদিনে ৭৫ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, হিসেবে গতবারের তুলনায় এবার দেড় গুণ বেশি মানুষকে টিকা প্রয়োগের টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এ সিদ্ধান্তের আলোকে ইউনিয়ন পর্যায়ে আগের দ্বিগুণ সংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনা হতে পারে।
প্রথম দফার গণটিকায় প্রতি ইউনিয়নে ৬০০ জনকে টিকা দেয়া হয়েছিল। এবার এ সংখ্যা দ্বিগুণ (১২০০) হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় হয়তো আগের মতো প্রতি ওয়ার্ডে ৩০০ জন অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে রোববার এ সংক্রান্ত সভা রয়েছে। সভায় এসব বিষয় চূড়ান্ত হবে।
এদিকে, গতবারের গণটিকায় সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মডার্নার টিকা এবং উপজেলা পর্যায়ে সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ করা হয়। তবে এবার সিটি কর্পোরেশন ও উপজেলা পর্যায়ের সবখানেই কেবল সিনোফার্মের টিকা দেয়া হবে। গণ টিকা কার্যক্রম পরিচালনায় ইতোমধ্যে সিনোফার্মের আরো ৪ লাখ ৭৫ হাজার ডোজ টিকা চট্টগ্রামে পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। শনিবার সকালে এসব টিকা গ্রহণের পর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরেজে সংরক্ষণে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৭ আগস্ট প্রথম দফার গণটিকা কার্যক্রমে মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় সবমিলিয়ে দেড় লক্ষাধিক (১ লাখ ৫৮ হাজার) মানুষকে টিকার প্রথম ডোজের আওতায় আনা হয়। এর মাঝে মহানগরেই টিকা পেয়েছেন প্রায় ৩৭ হাজার মানুষ। আর উপজেলা পর্যায়ে পেয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার জন।
সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৪১ ওয়ার্ডের ১২৩টি কেন্দ্রে গণটিকা দেয়া হয়। আর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেয়া হয় ১৯৭টি কেন্দ্রে। গণটিকাদানে সিটি কর্পোরেশন এলাকার প্রতি ওয়ার্ডে তিনটি করে অস্থায়ী কেন্দ্র করা হয়। প্রতি কেন্দ্রে ৩০০ জন করে একটি ওয়ার্ডে মোট ৯০০ জনকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়। আর ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতি কেন্দ্রে ২০০ জন করে প্রতি ইউনিয়নে ৬০০ জনকে টিকার আওতায় আনা হয়। এছাড়া মহানগরের ১১টি ও উপজেলা পর্যায়ে ১৪টি স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রেও টিকাদান অব্যাহত ছিল। গণটিকার আওতায় সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মর্ডানা এবং উপজেলা পর্যায়ে দেওয়া হয় সিনোফার্মের টিকা।
২৫ বছর ও তদুর্ধ্ব বয়সীরা কেন্দ্রে গিয়ে এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) দেখিয়ে টিকা নিতে পেরেছেন। তবে আগে থেকে যারা স্থানীয় কাউন্সিলরের তালিকায় নিবন্ধিত ছিলেন, কেবল তারাই টিকা গ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন মহানগর এলাকায়। অনেক ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা তালিকাভুক্তদের টোকেন সরবরাহ করেছেন। কেন্দ্রে গিয়ে ওই টোকেন দেখিয়ে সহজেই টিকা নিতে পেরেছেন মানুষ। ইউনিয়ন পর্যায়েও জনপ্রতিনিধিদের তৈরি করা তালিকা অনুযায়ী টিকা দেয়া হয়েছে। এবারও একই ভাবে গণটিকা কার্যক্রম পরিচালিত হতে পারে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।












