আজাদী প্রতিবেদন
নগরীতে আগুনে দগ্ধ হয়ে রিজিয়া বেগম নামে এক বৃদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃদ্ধা মাকে বাঁচাতে গিয়ে তার মেয়েও দগ্ধ হয়। গতকাল রোববার ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে নগরীর কর্নেলহাট সিডিএ আবাসিকের বিশ্ব কলোনিতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মৃত রিজিয়া বেগমের বয়স ৬০ বছর। বাড়ি ভোলা জেলায়। সিডিএ আবাসিক এলাকার দুই নম্বর সড়কে ভান্ডারি কলোনিতে মেয়ের বাসায় থাকতেন তিনি।
চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফরিদ আহমেদ আজাদীকে জানান, ভোর ৬টার দিকে ভান্ডারি কলোনিতে আগুন লাগার খবরে বায়েজিদ, হাটহাজারী ও চন্দনপুরা ফায়ার সার্ভিসের চারটি গাড়ি নিয়ে অগ্নি নির্বাপক কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪৫ মিনিটের মধ্যে আগুন নেভান। ভান্ডারি কলোনির একটি ঘরে আগুনের সূত্রপাত হয়। ওখানে পাঁচটি কক্ষে পাঁচটি নিম্ন আয়ের পরিবার থাকত। একটি কক্ষে রিজিয়া তার মেয়ের সঙ্গে থাকতেন। আগুন লাগার পর ঘর থেকে সবাই বেরিয়ে গেলেও রিজিয়া ভয়ে চৌকির নিচে ঢুকে পড়েন। আগুন ছড়িয়ে পড়লে তিনি আর বের হতে পারেন নি। একই ঘরে থাকা মেয়ে তার মাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে নিজেও দগ্ধ হন। ওই অবস্থায় দৌঁড়ে বের হয়ে প্রাণে রক্ষা পান। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা চৌকির নিচ থেকে রিজিয়া বেগমকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করলেও কয়েক মিনিট পরেই তার মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, বিশ্ব কলোনির ৫টি কাঁচা ঘরে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। এ সময় আগুনে দগ্ধ রিজিয়া বেগমের লাশ আমরা আকবরশাহ থানার ওসি জহির হোসেনের কাছে হস্তান্তর করি। স্থানীয় বাসিন্দা শিমুল কুমার গোস্বামী জানান, এই কলোনিতে আনুমানিক ২০ টার অধিক ঘর রয়েছে। সেখানে বেশিরভাগই নিম্ন আয়ের লোকজন ভাড়ায় থাকেন।
এ বিষয়ে আকবর শাহ থানার ওসি মো. জহির হোসেন আজাদীকে বলেন, আমরা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তার মেয়েকেও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।