চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং বাণিজ্যিক খাতের অন্যতম চালিকাশক্তি। একসময় এই বন্দরের মাধ্যমেই আমদানি হতো বিলাসবহুল গাড়ি। কিন্তু সময় পাল্টেছে, সাথে পাল্টেছে মানুষের পছন্দ ও চাহিদাও। বর্তমানে দেশে তৈরি পণ্য কিনতে সবার মধ্যে একটা আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
এমনকি দেশে তৈরি গাড়ি সেই তালিকার শীর্ষে। আর যদি গাড়ি হয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, তবে তো কথাই নেই। বিদেশি ছেড়ে দেশি পণ্য পছন্দের এই পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে চট্টগ্রামেও। বিখ্যাত মালয়েশিয়ান ব্র্যান্ড প্রোটন-এর ফ্ল্যাগশিপ এসইউভি ‘প্রোটন এক্স-৭০’ এখন গর্বের সাথে সেই পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
গাজীপুরের বড় ভবানীপুরে অবস্থিত র্যানকন অটো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর অত্যাধুনিক কারখানায় ‘প্রোটন এক্স-৭০’ অ্যাসেম্বল করা হচ্ছে। এর “প্রাউডলি মেইড ইন বাংলাদেশ” ট্যাগ কেবল একটি লেবেল নয়, বরং দেশিয় প্রকৌশলীদের মেধা, দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক এটি। স্থানীয় অ্যাসেম্বলির কারণে প্রোটন এক্স-৭০ এর দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আসার পাশাপাশি বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি এবং দেশের জনশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধিতেও কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
দেশের অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র হওয়ায় চট্টগ্রামের রাস্তার সার্বিক অবস্থা ও যানজট, উভয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রোটন এক্স-৭০ পুরোপুরি প্রস্তুত। এতে আছে ১৯ ইঞ্চি অ্যালউ হুইল এবং ২০০ মি.মি. গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স; যা যেকোন ধরণের রোড কন্ডিশনে চমৎকার নিয়ন্ত্রণ, স্থিতিশীলতা ও আত্মবিশ্বাস নিশ্চিত করে। প্রিমিয়াম সি-সেগমেন্টের এই স্মার্ট এসইউভি’র ডিজাইন, হাইড্রোলিক বনেট, ফুট-সেন্সর টেইলগেট ইত্যাদি ফিচার এতে এনেছে আভিজাত্যের ছোঁয়া। এছাড়া, গাড়ির ৫১৫ লিটারের বুট স্পেস দীর্ঘ ভ্রমণ কিংবা কক্সবাজার, রাঙ্গামাটিতে অ্যাডভেঞ্চার ট্রিপকে করে তুলবে আরও আরামদায়ক।
এক্স-৭০ চালিয়ে ফিউচারিস্টিক স্মার্ট ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে, বলছে প্রোটন। এর ‘হাই প্রোটন’ ভয়েস কমান্ড সিস্টেমের মাধ্যমে গাড়ির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফিচার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যেমন; “হাই প্রোটন, ওপেন দ্য সানরুফ” বললেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে গাড়ির বিশাল প্যানারোমিক সানরুফ। এছাড়া, এয়ার কন্ডিশন থেকে নেভিগেশন বা মিউজিক সিস্টেম – সবেতেই আছে ভয়েজ কন্ট্রোল সুবিধা এবং এর ডুয়েল-জোন ক্লাইমেট কন্ট্রোল ও এন৯৫ ফিল্টার গাড়িকে বাইরের ধুলোবালি থেকে সুরক্ষিত রাখবে।
প্রোটন এক্স-৭০ তে ভলভো ও জিইলি-এর যৌথ প্রযুক্তিতে নির্মিত ১.৫ লিটার টার্বোচার্জড টিজিডিআই ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে, যা ১৭৫ বিএইচপি পাওয়ার ও ২৫৫ নিউটন মিটার টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। আরও আছে ৭-স্পিড ডুয়েল-ক্লাচ ট্রান্সমিশন (ডিসিটি), যা হাইওয়েতে ১৩–১৪ কি.মি. মাইলেজ এবং ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০৫ কি.মি. পর্যন্ত গতি নিশ্চিত করতে সক্ষম।
সুরক্ষার মানদণ্ডেও প্রোটন এক্স-৭০ এসেয়ান এনক্যাপ-এর সর্বোচ্চ ৫-স্টার রেটিং অর্জন করেছে। গাড়ির ৬টি এসআরএস এয়ারব্যাগ, অটোনোমাস ইমার্জেন্সি ব্রেকিং (এইবি), অ্যাডাপটিভ ক্রুজ কন্ট্রোল (এসিসি), লেন ডিপার্চার ওয়ার্নিং (এলডিডব্লিউ) ইত্যাদি ফিচারগুলো প্রতিটি ভ্রমণকে করে তুলবে আরও নিরাপদ।
এখানেই শেষ নয়। একটি প্রিমিয়াম গাড়ির দীর্ঘস্থায়ী পারফর্ম্যান্সের প্রতিশ্রুতি লুকিয়ে থাকে বিশ্বস্ত সার্ভিসিং-এ। তাই প্রোটন এক্স-৭০ কিনলে থাকছে ৫ বছর বা ১.৫ লক্ষ কি.মি. এর ওয়ারেন্টি এবং ৬টি ফ্রি সার্ভিসিং সুবিধা। প্রোটনের অথোরাইজড সার্ভিস সেন্টার হিসেবে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সেবা দিচ্ছে র্যাংগস ওয়ার্কশপ লিমিটেড। চট্টগ্রামের নাসিরাবাদে অবস্থিত র্যাংগসের ওয়ার্কশপে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গ্রাহকরা গাড়ি সার্ভিসিং, অরিজিনাল পার্টস সহ সব ধরণের বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন।
বাংলাদেশ এখন আর কেবল গাড়ি আমদানিকারক নয়, বরং নিজ সক্ষমতায় আন্তর্জাতিক মানের গাড়ি নির্মাণের নতুন ঠিকানা। দেশিয় পণ্য কিনে এই গৌরবের অভিজ্ঞতা নিতে আজই যোগাযোগ করুন প্রোটনের অথোরাইজড সার্ভিস সেন্টারের ঢাকা বা চট্টগ্রাম শোরুমে। জেট গ্রে, রুবি রেড, স্পেস গ্রে, সিনেমন ব্রাউন এই চারটি রঙে গাড়িটি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। টেস্ট ড্রাইভ নিতে অথবা বুকিং এর জন্য সরাসরি কল করুন প্রোটন বাংলাদেশ হটলাইন – ০৯৬১৭৪৫৪৫৪৫ নম্বরে।