করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ওমিক্রন ধরনের সংক্রমণে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি এর আগের ডেল্টা ধরনের চেয়ে কম হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে একটি বিপদজনক ভাইরাস হিসেবেই দেখছে, বিশেষ করে যারা এখনও টিকা নেয়নি তাদের জন্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিসুয়েস বলেছেন, এই ভাইরাসকে আমরা মুক্তভাবে চলার সুযোগ দিতে পারি না, যখন বিশেষ করে এখনও বিশ্বের অনেক মানুষ টিকা পায়নি। খবর বিডিনিউজের।
গত মঙ্গলবার সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে ডব্লিউএইচও জানায়, ৯ জানুয়ারি থেকে পরের সপ্তাহে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫৫ শতাংশ বা দেড় কোটি বেড়েছে, যা এখন পর্যন্ত এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এ ব্যাপারে মহাপরিচালক বলেন, সংক্রমণের এই ব্যাপক বৃদ্ধি ওমিক্রনের মাধ্যমে হচ্ছে, যেটা ধারাবাহিকভাবে প্রায় সব দেশেই ডেল্টা ধরনের জায়গাটি নিয়ে নিচ্ছে। তিনি জানান, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এখন যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগই টিকা না পাওয়া রোগী। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বুধবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ৯০টির বেশি দেশ এখনও তাদের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশকে টিকাদানের লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি এবং আফ্রিকার ৮৫ শতাংশের বেশি মানুষ এখনও এক ডোজ টিকাও পায়নি। তিনি জানান, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এখন যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগই টিকা না পাওয়া রোগী। যদি সংক্রমণ কমিয়ে আনা সম্ভব না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে ওমিক্রনের চেয়েও সংক্রামক এবং আরও ভয়াবহ নতুন ভ্যারিয়েন্টের উদ্ভব হওয়ার শঙ্কার কথা জানিয়ে সতর্ক করেছেন ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক।