জনগণ নির্বাচনমুখি না হওয়ার জন্য ভয়ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় গ্রেপ্তার অভিযান করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তারা সে কথা রাখেনি। প্রতিদিন বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে অভিযান ও হামলা চলছে। মামলা দিয়ে একটা ভয়ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। যাতে জনগণ ভোট থেকে সরে আসে। ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের মত চট্টগ্রামেও দখলের নীল নকশার প্রস্তুতি কিনা তা নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন ডা. শাহাদাত। বায়েজিদ বোস্তামী মাজার গেটের সামনে থেকে শুরু হয়ে তারা গেইট, শেরশাহ, ফকির পাড়া, টেক্সটাইল মোড়, গ্রীনভ্যালি আবাসিক এলাকায় গিয়ে পথসভার মাধ্যমে গণসংযোগ শেষ হয়। এসময় সাধারণ ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় করেন ডা. শাহাদাত। ভোট চান ধানের শীষ প্রতীকে।
পথসভায় ডা. শাহাদাত বলেন, ইতোপূর্বে সারা দেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মতো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকেও প্রহসনে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি-ধমকি, হামলা আর ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে আসতে নিষেধ করা হচ্ছে। ধানের শীষের প্রার্থীর সমর্থক ও ভোটারদের প্রতিনিয়ত নিগৃহীত করা হচ্ছে। শুধু বুধবার রাতে বিএনপির ৩০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গণসংযোগ অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মো. হেলাল উদ্দীন, নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ আজম উদ্দীন, সদস্য এরশাদ উল্লাহ, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, মো. শামসুল হক, জালালাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ইয়াকুব চৌধুরী, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী রোখসানা বেগম মাধু, বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল হারুন, এইচ এম রাশেদ খান, বেলায়েত হোসেন বুলু, রফিকুল ইসলাম, আবু মূসা, ডা. মো. ফরিদ, শেখ মো. আলাউদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, মকবুল হোসেন, মিজানুর রহমান, মো. ইদ্রিস, মামুন আলম, এস এম মহসিন, জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল করিম, অরুপ বড়ুয়া, সাবের আহম্মদ, ইদ্রিস আলম, সৈয়দ মন্জুর হোসেন প্রমুখ।