দেশজুড়ে দিনদিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে উঠতি কিশোরদের ‘গ্যাং কালচার’। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকাল অনেক মা-বাবা, অভিভাবক, কিশোর সন্তানের প্রতি কোনো খেয়াল রাখেন না, তাদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন না। পরিবারের প্রায় সবাই জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে এত ব্যস্ত থাকেন যে, ঘরে তাদের সন্তানের দেখভালের সময়ই পান না; বিশ্লেষকদের অভিমত, পরিবার ও রাষ্ট্রীয় অনুশাসনের অভাবে অল্প বয়স থেকে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন কিশোররা। যে বয়সে একজন কিশোর লেখাপড়া-খেলাধুলা করে বেড়ে উঠবে, সুন্দর-স্বাভাবিক জীবনযাপন করবে। সেই বয়সেই কিনা তারা জড়িয়ে পড়ছে মাদক, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, যৌন হয়রানি এমনকি খুনের মতো ভয়ংকর অপরাধে। আজকাল অনেক মা-বাবা তাদের সন্তান একটু বড় হলেই শাসন করতে ভয় পান। এটা কাম্য নয়; আপনার সন্তানের দেখভাল করার দায়িত্ব আপনার। বিশেষজ্ঞরা বলেন, পরিবার ও সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের ইতিবাচক পদক্ষেপ এবং রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর উদ্যোগ ছাড়া ‘গ্যাং কালচার’ রোধ সম্ভব হবে না, এক্ষেত্রে প্রথমেই বাবা-মাকে এগিয়ে আসতে হবে। সন্তানরা কী করছে, কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে মিশছে, এ ক’টি বিষয়ে পর্যাপ্ত মনিটর করতে পারলেই গ্যাংয়ের মতো বাজে কালচারে সন্তানের জড়িয়ে পড়া রোধ করা সম্ভব!
আল-আমিন আহমেদ
শিক্ষার্থী, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ।