হয়রানিমুক্ত করসেবা প্রদান, নিবন্ধের সংখ্যা বাড়ানো এবং ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইসের (ইএফডি) ব্যবহার জোরদার করার উদ্দেশ্য নিয়ে নগরীতে শুরু হয়েছে দুইদিনব্যাপী ভ্যাট মেলা। চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেটের ৮টি ডিভিশনে একযোগে এই মেলা শুরু হয়েছে গতকাল। সকাল ১০টায় বেলুন উড়িয়ে নগরীর সদরঘাট পুরাতন কাস্টম এলাকার শুল্ক ভবনে আগ্রাবাদ বিভাগ ও ১১টায় জাম্বুরি মাঠের কাস্টমস ও ভ্যাট অডিট ভবনে চট্টলা বিভাগের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মেলার মাধ্যমে করদাতাদের হয়রানি ও ভীতি দূর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, চট্টগ্রামে অনেক ব্যবসায়ী আছেন, যারা ভ্যাট দিতে সক্ষম। কিন্তু ভ্যাট প্রদানে রয়েছে তাদের চরম অনীহা। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাট প্রদানে উদ্বুদ্ধ করে আসছিলাম, কিন্তু তারা এগিয়ে আসেননি। উল্টো ভ্যাট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনে বিভিন্ন মানববন্ধন করে আসছিলেন। আমরা করদাতাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে বদ্ধপরিকর। সেবাগ্রহীতারা মেলায় স্থাপিত বুথে সহজে রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন। এছাড়া ভ্যাট দাতাদের কিভাবে রিটার্ন সাবমিট করতে হয়, সেটি শিখিয়ে দেয়া দেয়া হবে।
মেলায় অনলাইনে ভ্যাট প্রদান, নতুন নিবন্ধন, ইএফডি সংক্রান্ত কার্যক্রম ও অন্যান্য বিষয়ে করদাতাদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে এ কমিশনারেটের অধীনে ১২০টি প্রতিষ্ঠানে ইএফডি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেওয়া ভ্যাট চালানের ওপর প্রতি মাসে লটারি করে ১০১ জনকে পুরস্কার দেওয়া হবে। কমিশনারেটের আওতায় এখন নিবন্ধিত করদাতা আছেন ২৬ হাজার ৭৫০। এর সংখ্যা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও সার্কেল কর্মকর্তারা জরিপের কাজ করছেন বলে কমিশনার উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে আগ্রাবাদ বিভাগের অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন ও বিভাগীয় কর্মকর্তা উপ-কমিশনার মো. শাহীনূর কবীর পাভেল, চট্টলা বিভাগের অনুষ্ঠানে রাঙামাটি বিভাগীয় কর্মকর্তা উপ কমিশনার কামনাশীষ ও চট্টলা বিভাগীয় কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার এসএম সরাফত হোসেন বক্তব্য রাখেন।