জানুয়ারির শেষ সপ্তাহেই বাংলাদেশে আসছে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। যদিও প্রথম ধাপে সবাই এই ভ্যাকসিন পাবে না। প্রয়োজন বুঝে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলবে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া। যে অগ্রাধিকার তালিকায় আছেন মুক্তিযোদ্ধা, স্বাস্থ্যকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, পুলিশ বিভাগসহ আরও কয়েকটি ক্ষেত্র। আপাতত নেই ক্রিকেটাররা। তবে অগ্রাধিকার তালিকায় ক্রিকেটারদেরও নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানালেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। তিনি বলেন, অবশ্যই ঘরোয়া ক্রিকেট আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পাবে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন উনি সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন সরকারের সঙ্গে কথা বলে। এমনকি ক্রীড়ামন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলও বলেছেন খেলোয়াড়দের প্রায়োরিটি দেয়া হবে ভ্যাকসিনের ব্যাপারে। বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জানান, মূলত ঘরোয়া ক্রিকেট যাতে দ্রুত মাঠে গড়ানো যায়, সেজন্যই ক্রিকেটারদের যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করার চেষ্টা চলছে। ফুটবলাররা যেহেতু অগ্রাধিকার পাচ্ছেন না তাহলে শুধু ক্রিকেটাররা কেন? তেমন প্রশ্নের জবাবে জালাল ইউনুস বলেন ফুটবল তো খুব শর্ট টার্ম খেলা। মাঠে সময় কম লাগে এবং ড্রেসিংরুমেও। ক্রিকেটে যেমন আট ঘন্টা লাগে। চার ঘন্টা লাগে টি-টোয়েন্টির জন্য। আট ঘন্টারও বেশি লাগে ওয়ানডের জন্য। লংগার ভার্সনের খেলা ধরলে চারদিনের ব্যাপার। অনেকগুলো ইস্যু আছে ফুটবলের সঙ্গে তুলনা করতে পারি না। আমাদের খুবই সতর্ক থাকতে হবে। তবে ক্রিকেটাররা কোন ভ্যাকসিন নেবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারলেন না বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন ভ্যাকসিনের কথা আমি বলতে পারব না। কে কোনটা ব্যবহার করবে। এটা আমার বিষয় নয়। সরকার থেকে যেটা অনুমোদন আসবে আমরা ওইটার জন্যই যাব।