ভোরের আগুনে নিভে গেল দাদি-নাতনির প্রাণ

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

ভোরের নীরবতা ভেঙে হঠাৎ আগুনের লেলিহান শিখা। চোখের সামনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ঘরবাড়ি, আর সেই আগুনেই প্রাণ হারালেন এক দাদি ও তার পাঁচ বছরের নাতনি। রাঙ্গুনিয়ায় বসতঘরে লাগা আগুনে এমন হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী হলো একটি গ্রাম। গতকাল বুধবার ভোরে উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের সৌদিয়া প্রজেক্ট গেটসংলগ্ন কাদেরীয়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে দাদি ও নাতনির মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় পুড়ে গেছে ছয়টি বসতঘর। নিহত দুজন হলেন ওই গ্রামের রুহুল আমিনের স্ত্রী রুমি আক্তার (৫৫) এবং তার নাতনি মো. সুমনের পাঁচ বছরের শিশুকন্যা জান্নাত।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোরে একটি বসতঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের ঘরে। এ সময় একটি বসতঘরে আটকা পড়ে যান রুমি আক্তার ও তার নাতনি জান্নাত। আগুনের তীব্রতায় তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। এই অগ্নিকাণ্ডে মো. কায়েস আহম্মেদ, মনসুর, ময়নুল আহম্মদ, সংজি, এসকান্দার ও শিরিন আক্তারের মালিকানাধীন একাধিক কক্ষবিশিষ্ট বিভিন্ন পরিমাপের ছয়টি কাঁচা বসতঘর পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ভুক্তভোগীরা জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’এ ফোন করেন। পরে রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল মন্নান। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবি, আগুনে তাদের প্রায় অর্ধ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেন এবং সরকারিভাবে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং সহায়তার আশ্বাস দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিটুমিন সংকট, জোড়াতালি দিয়ে চলছে সড়ক সংস্কার কাজ
পরবর্তী নিবন্ধনতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী