ভোটে জিততে টাকা নির্বাচন কর্মকর্তা-প্রার্থীর অডিও ফাঁস

| শুক্রবার , ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ

রংপুরে সাড়ে চার লাখ টাকায় ইউপি সদস্য পদে একজনকে ভোটে জিতিয়ে দেওয়ার কথোপকথনের একটি অডিও নিয়ে চলছে তোলপাড়। মিঠাপুকুর উপজেলায় সপ্তম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বালারহাট ইউনিয়নের এক সদস্য প্রার্থীর সঙ্গে এক নির্বাচন কর্মকর্তার গোপন কথাবার্তার এই অডিও ফাঁস হয়ে যায়। খবর বিডিনিউজের।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে সোশাল মিডিয়ায় আসা এই অডিও কথোপকথনের সত্যতা সদস্য পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম স্বীকার করলেও মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান অস্বীকার করেছেন।
ফাঁস হওয়া ওই অডিওতে এক প্রান্ত থেকে বলতে শোনা যায়, নির্বাচন করতে গেলে প্রতিদিনই ১০ হাজার করে টাকা ব্যয় হবে এবং তাতে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ হবে। তারপরও জেতার নিশ্চয়তা নেই। বরং তার সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকার চুক্তি করলে তিনি যেভাবেই হোক জিতিয়ে দেবেন।
ফোনে বলা এই কণ্ঠটি হান্নানের বলে দাবি করেছেন বালারহাট ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ফুটবল প্রতীকের সদস্য পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম। তার সঙ্গে হান্নান কথা বলছিলেন বলে স্বীকার করলেও ‘গোপন চুক্তির’ বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি।
রফিকুল দাবি করেন, ভোটে জেতার জন্য দুই দফায় এলাকার একজন শিক্ষকের মাধ্যমে ওই নির্বাচন কর্মকর্তাকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দিয়েছেন তিনি।
তবে পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হান্নান বলছেন, একটি পক্ষ বানোয়াট অডিও তৈরি করে ছড়িয়ে দিয়েছে। তিনি রফিকুলের কাছ থেকে কোনো টাকা নেননি। ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টার’ কারণে রফিকুলকে প্রধান আসামি করে মামলা করার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দিন বলেন, পুরো ঘটনাটি যাচাই-বাছাই করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, ভাইরাল হওয়া অডিও রেকর্ডটি আমরা শুনেছি। তাকে মিঠাপুকুর উপজেলা থেকে প্রত্যাহার করে নিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বরাবর আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি, আজকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে আব্দুল হান্নানকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএকুশে পদক পাচ্ছেন এম এ মালেক
পরবর্তী নিবন্ধমেকানিক থেকে মোটরসাইকেল চোর চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার