যুক্তরাষ্ট্রের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশে কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে ‘সমর্থন করে না’; নির্বাচনে ‘জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন’ দেখতে চায়। গতকাল সোমবার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। জ্যাকবসন বলেন, আমরা, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কিংবা যুক্তরাষ্ট্র সরকার, কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। তবে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দেখা করি তাদের নীতি ও লক্ষ্য বুঝতে। আমরা কোনো নির্দিষ্ট রাজনীতিবিদকেও সমর্থন করি না, তবে তাদের লক্ষ্য বোঝার জন্য তাদের সঙ্গে দেখা করি। আমরা কোনো নির্দিষ্ট নির্বাচনি ফলাফলও সমর্থন করি না। এটা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত, এবং আমরা আশা করি আপনারা সফলভাবে সেটি সম্পন্ন করবেন। খবর বিডিনিউজের।
জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি জানতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করতে সিইসি নাসির উদ্দিনের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, আমি আমার কিছু সহকর্মীকে নিয়ে এখানে এসেছি শুনতে, জানতে এবং বুঝতে।
‘অনেক গুজব ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে আছে’ মন্তব্য করে জ্যাকবসন বলেন, আমি খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অবস্থান কী। আমরা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে সমর্থন করি, যাতে তারা আগামী বছরের শুরুর দিকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের রূপরেখা নির্ধারণ করতে পারে। আমরা আশা করি, সেই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে এবং তা একটি সফল গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে, যা বাংলাদেশের জনগণের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।
এক বছরের বেশি সময় পর সিইসির সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক হল। এ উপলক্ষে নির্বাচন ভবনে এদিন বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। ইসি সচিব আখতার আহমেদ দুপুর ২টার পর নির্বাচন ভবনের নিচতলার প্রবেশ পথে ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনকে অভ্যর্থনা জানান। ইসি সচিবের নেতৃত্বে কর্মকর্তাদের একটি দল মার্কিন প্রতিনিধি দলকে সিইসির দপ্তরে নিয়ে যান। মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল অফিসার জেমস স্টুয়ার্ট এবং পলিটিক্যাল স্পেশালিস্ট ফিরোজ আহমেদও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।