পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, জর্জিয়া এবং উইসকনসিনের পর রিপাবলিকানদের এক সময়ের ‘দুর্গ’ টেক্সাসেও এ বার হতাশ হতে হল আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। তার প্রদেশে ভোট বাতিলের যে আর্জি জানিয়েছিলেন ট্রাম্পের কট্টর সমর্থক টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন শুক্রবার আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে। তার ফলে, গণভোট ও ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েও আদালতের ভরসায় ফের ক্ষমতাসীন হওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, তা চুরমার হয়ে গেল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবিকে সমর্থন করে টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল প্যাক্সটন তার প্রদেশের লক্ষ লক্ষ ভোটারের দেওয়া ভোটকে অবৈধ ঘোষণা করে সেগুলি বাতিলের আর্জি জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। তার অভিযোগ ছিল, অনলাইনে দেওয়া ভোটে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরাই শুক্রবার সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘এই আর্জিকে গ্রাহ্য করার কোনও আইনি অধিকার আদালতের হাতে নেই। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটাভুটি সংবিধান লঙ্ঘন করেছে এমন প্রমাণ আদালতের কাছে নেই।’
ভোট বাতিলের আর্জি সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে যাওয়ার পর সখেদে টুইট করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। টুইটে লিখেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট সত্যি সত্যিই আমাদের দমিয়ে দিয়েছে। কোনও বুদ্ধিদীপ্ত বিবেচনার হদিশ মিলল না। সাহসও দেখাতে পারল না।’ সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়ে টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল প্যাক্সটন বলেছেন, ‘আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।’
তবে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরেও ট্রাম্পের ওই টুইট এবং টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল প্যাক্সটনের মন্তব্যে যে রিপাবলিকানরা কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে পড়ে গিয়েছেন তার প্রমাণ মিলেছে প্রেসিডেন্টের দলের নির্বাচনী আইনজীবী বেন গিন্সবার্গের মন্তব্যে। তিনি বলেছেন, ‘এই সব আমাদের দেশের গণতন্ত্রের উপর আঘাত হানছে।’