বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সময় এফডিসিতে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিনের পদত্যাগের দাবিতে সমাবেশ করেছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, কলাকুশলীদের ১৭টি সংগঠন। অন্যদিকে নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার ওই পদে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি তুলেছেন। গতকাল রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তিনি। বিডিনিউজের সংবাদ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির দপ্তরের সামনে নুজহাত ইয়াসমিনের কুশপুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, কলাকুশলীদের ১৭টি সংগঠন। এর আগে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমাবেশ করে তার পদত্যাগের দাবি জানান প্রযোজক ও পরিচালকরা। শুক্রবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে শিল্পী সমিতি বাদে বাকি ১৭ সংগঠনের নেতা ও সদস্যদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে; ঢুকতে না পেরে তখনই এফডিসির মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান প্রযোজক, পরিচালকরা। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমডির পদত্যাগ চেয়ে কর্মসূচি ঘোষণার পর গতকাল সকাল ৯টা থেকে সমাবেশে যোগ দিতে শুরু করেন ১৭টি সংগঠনের সদস্যরা। শনিবার ফল ঘোষণার পর নিপুণ আপিল করেছিলেন, কিন্তু ভোট পুনর্গণনায়ও ফল না বদলানোর পর তিনি সংবাদ সম্মেলনে এলেন। নিপুণ বলেন, শুধু সাধারণ সম্পাদকে পদটা স্থগিত করে পুনরায় ভোট করতে চাই। জায়েদ খানের সঙ্গে আবারও ভোট করতে চাই। প্রয়োজনে আদালতেও যাওয়ার কথা ভাবছেন বলে জানান এই অভিনেত্রী। ঘোষিত ফলে জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হারেন নিপুণ; জায়েদ খান পান ১৭৬ ভোট; নিপুণ পান ১৬৩ ভোট।
শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রে একটি পদের জন্য পুনরায় ভোট সম্ভব কি না-এ প্রশ্নের জবাবে নিপুণ বলেন, গঠনতন্ত্র দেখে তিনি বিষয়টি জানাবেন। সংবাদ সম্মেলনে তার পাশে থাকা নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, প্রতিটা সংগঠনের কনভেনশন থাকে। আলাদাভাবে মনে হয় ইলেকশন করা যায়।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন বলেন, আমাদের কর্মক্ষেত্রে আমাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এমডির স্বেচ্ছাচারিতা ও একনায়কতন্ত্রের কারণে চলচ্চিত্রের কর্মীরা এফডিসিতে ঢুকতে পারেননি। তার প্রতিবাদে এই সমাবেশ থেকে পদত্যাগ দাবি করছি। পরিচালক এস এ হক অলিক সমাবেশে বলেন, এফডিসি একজন চলচ্চিত্র নির্মাতার দ্বিতীয় ঘর। সেই ঘরে ঢুকতে পারবে না, এটা আমরা মানি না। একজন প্রযোজকের দ্বিতীয় ঘর এফডিসি। তারা প্রবেশ করতে পারে না, মানি না। প্রযোজক নেতা অলিমুল্লাহ খোকন, পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টুসহ আরও অনেকে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। এ সময় ‘এমডির অপসারণ চাই’ বলে শ্লোগান দিয়েছেন চলচ্চিত্রকর্মীরা।
পরে এফডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলন নুজহাত ইয়াসমিন বলেন, মহামারী পরিস্থিতির মধ্যে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ১০০ জনের বেশি লোক সমাগমে নিষেধ করা হয়েছে; সে বিষয়টি মাথায় রেখে ১৭ সংগঠনের সদস্যদের পাস দেওয়ার অনুমতি এফডিসি দেয়নি।