ভোটার তালিকা হালনাগাদে তথ্য সংগ্রহ শুরু ২০ মে

তিন বছরের তথ্য একসঙ্গে সংগ্রহ করা হবে।। ১৮ বছর বয়স হলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে তালিকাভুক্তি

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

তিন বছর পর আগামী ২০ মে থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ৬টি উপজেলায় ২০ মে থেকে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে জেলার সকল উপজেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ভোটার হালনাগাদের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন ইসি দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসের মধ্যে হালনাগাদের এ সিদ্ধান্ত এল। সর্বশেষ ২০১৯ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদের কাজ হয়েছিল।
জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা জানান, এবার ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজের সময় নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি মৃতদের বাদ ও স্থানান্তরের কাজ চলবে। ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম, এমন ভোটারযোগ্য নাগরিকদের তথ্য নিবন্ধনের জন্য সংগ্রহ করা হবে। ১৫-১৭ বছর বয়সীদের তথ্য সংগ্রহ হবে। ১৮ বছর বয়স হলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে তারা ভোটার তালিকাভুক্ত হবে।
এ কর্মকর্তা জানান, তিন সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে। এরপর নির্ধারিত নিবন্ধন কেন্দ্রে ছবি তোলা, দশ আঙুল ও চোখের আইরিশের ছাপ নেওয়া হবে। কখন, কোথায় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে তা গণমাধ্যমে ও স্থানীয়ভাবে পরে জানিয়ে দিবে কমিশন। সব প্রক্রিয়া শেষ করে খসড়া তালিকা প্রকাশ, দাবি আপত্তি শেষে আগামী বছর মার্চে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে। ২০২৩ সালের ২ মার্চে যেসব নতুন ভোটার চূড়ান্ত ভোটার তালিকাভুক্ত হবেন (১ জানুয়ারি ২০০৫ বা তার আগে যাদের জন্ম) তারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুল আলম আজাদীকে জানান, সর্বশেষ ২০১৯ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ হয়েছিল। তবে বছরব্যাপী থানা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ ছিল। এটা সারা বছরই চলেছে। এবার আগামী ২০ মে থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকার হালনাগাদের কাজ শুরু হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে মীরসরাই, সীতাকুণ্ড, চন্দনাইশ, আনোয়ারা, লোহাগাড়া ও কর্ণফুলী উপজেলায় তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে। এরপর জেলার অন্যান্য উপজেলা ও সিটি এলাকায় তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে। নির্বাচন কমিশন থেকে জানা গেছে, এবার সরকার বাংলাদেশের হিজড়া জনগোষ্ঠীকে হিজড়া লিঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত করে স্বীকৃতি দেওয়ায় তারা ভোটার তালিকায় নতুন করে যুক্ত করতে পারবেন। তবে হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে তাদের শনাক্তকরণের জন্য সমাজসেবা অফিসের প্রত্যয়ন অথবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির প্রত্যয়ন লাগবে। এ বিষয়ে যথাযথ দৃষ্টি রাখার নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। নির্দেশনায় বলা হয়, তারা (হিজড়া) যেন ভোটার তালিকায় নাম দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই বঞ্চিত না হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাতার বিশ্বকাপে কে কোন গ্রুপে
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা