চট্টগ্রাম–১০ আসনের উপনির্বাচনে ভোটার আনাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ কাট্টলী প্রাণহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বর্তমান ও সাবেক কাউন্সিলরের দুই অনুসারীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কেন্দ্রে কিছুক্ষণের জন্য উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
দেলোয়ার হোসেন নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর অধ্যাপক মো. ইসমাইলের অনুসারী নগর দাশ ও সাবেক কাউন্সিলর মোরশেদ আকতার চৌধুরীর অনুসারী বাবলু দাশ ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভোট দিতে কেন্দ্রে আসেন। তারা দুজনই নৌকার ব্যাজ পরে ভোটার আনার কাজ করছিলেন। এর মধ্যে একজন বলছিলেন ভোটার আনার দায়িত্ব অধ্যাপক মো. ইসমাইলের। অপরজন বলছিলেন এই দায়িত্ব মোরশেদ আকতার চৌধুরীর। এই নিয়ে তর্কাতর্কি, হাতাহাতি থেকে মারামারির সূত্রপাত হয়। তবে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ কাট্টলী প্রাণহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৭৮৪ জন। সকাল থেকে ভোটাররাও ঝামেলাহীন ভোট দিয়েছেন। তবে দুপুরে ছোট একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। ব্যক্তিগত বাকবিতণ্ডা থেকে এ ঘটনা হয়েছে শুনেছি। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলায় দায়িত্বরত সদস্যরা দ্রুত সমাধান করে ফেলে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর অধ্যাপক মো. ইসমাইল আজাদীকে বলেন, প্রাণহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কোনো ঝামেলা হয়েছে বলে আমার সঠিক জানা নেই। এছাড়া নগর দাশ নামে যে ছেলেটির কথা বলা হচ্ছে, সে আমার অনুসারী নয়।
দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোরশেদ আকতার চৌধুরী বলেন, নির্বাচনে সকাল থেকে আমি ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে আনার কাজ করেছি। বাবলু দাশও আমার সাথে ছিল। এর মধ্যে সে ভোট দেয়ার জন্য কেন্দ্রে যায়। এরপরে শুনেছি নগর দাশের সাথে তার ঝামেলা হয়। আমরা কারো প্রতিপক্ষ না, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী মহিউদ্দিন বাচ্চুর পক্ষে কাজ করেছি। বিষয়টি বর্তমান কাউন্সিলরের সহ্য হয়নি।








