চট্টগ্রাম–১০ আসনের উপনির্বাচনে ১৫৬টি ভোটকেন্দ্র ও ১২৫১টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে। চট্টগ্রাম জেলার নির্বাচন কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করে এসব ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করেছেন। নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে ১৮৭৮টি ইভিএম।
আগামী ৩০ জুলাই ভোট গ্রহণে দায়িত্ব পালন করবেন ৩ হাজার ৯০৯ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা। তবে প্রশিক্ষণ নেবেন অতিরিক্ত ৫ শতাংশসহ ৪ হাজার ১০৫ জন। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম–১০ আসনের উপনির্বাচনে ১৫৬টি কেন্দ্রের ১২৫১টি বুথে ভোট গ্রহণ হবে ইভিএমে। প্রতিটি বুথে ১টি করে ইভিএম ব্যবহার হবে। আরো ৬২৭টি ইভিএম অতিরিক্ত প্রস্তুত রাখা হবে। যখন কোনো কেন্দ্রে ইভিএম সমস্যা হবে সাথে সাথে অন্য একটি ইভিএম ব্যবহার করা হবে। মোট ১৮৭৮টি ইভিএম এই উপনির্বাচনের জন্য প্রস্তত রাখা হবে। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে ২১ জুলাই। চলবে ২৬ জুলাই পর্যন্ত। নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে সব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৩৮ জন এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৭৭ জন।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৮ নং শুলকবহর, ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলী, ১২ নং সরাইপাড়া, ১৩ নং পাহাড়তলী, ১৪ নং লালখান বাজার, ২৪ নং উত্তর আগ্রাবাদ, ২৫ নং রামপুর ও ২৬ নং উত্তর হালিশহর ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম–১০ আসন গঠিত। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, ৬ ও ৭ জুলাই মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ হয়েছে। বাছাইয়ে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ ১২ জুলাই এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে আগামীকাল ১৩ জুলাই। আগামীকাল প্রতীক বরাদ্দের পরপরই মাঠ পর্যায়ে শুরু হবে প্রার্থীদের প্রচার–প্রচারণা।
উপনির্বাচনে মাঠে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম, তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী ও মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া।