আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকক্ষের গোপনীয়তা রক্ষা নিশ্চিত করতে প্রিসাইডিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে ভোটাররা যাতে মোবাইল ফোন নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারে, সেটাও নিশ্চিত করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার ইসির উপ-সচিব আতিয়ার রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা সব রিটার্নিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, জেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধি অনুযায়ী, ভোটারের গোপনীয়তা ভঙ্গ করা বা ভঙ্গ করার চেষ্টা অসদাচরণ ও দন্ডনীয় অপরাধ। এধরনের বিধিবহির্ভূত কার্যক্রম বা অসদাচরণ প্রতিরোধে প্রিসাইডিং অফিসার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের করণীয় সম্পর্কে বিধিমালায় সুস্পষ্টভাবে বলা রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, যেকোনও পদ বা মর্যাদার ব্যক্তি হন না কেন, ভোটকেন্দ্রের গোপনীয় কক্ষে বা পাশে অবৈধভাবে অবস্থান করে কোনও ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধাগ্রস্ত করলে, আইনানুযায়ী তাৎক্ষণিক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ভোটকক্ষে ভোটাররা যাতে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে, অথবা ভোটকক্ষে ভোটদান বিশেষ করে গোপনকক্ষে ভোট প্রদানের ছবি তুলতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রিসাইডিং অফিসারসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে এতে বলা হয়, নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কোনও কারণে ব্যবস্থা গ্রহণে অক্ষম হলে, বিষয়টি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত তাৎক্ষণিক নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি অথবা রিটার্নিং অফিসার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে অবহিত করতে হবে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগে গোপনীয়তা রক্ষার বিধান প্রতিপালনে প্রিসাইডিং অফিসার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারাসহ নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তাকে বিশেষভাবে যত্নবান হওয়ার জন্যও নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে পুনরায় বিশেষভাবে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কোনও নির্বাচন কর্মকর্তা বর্ণিত দায়িত্ব গ্রহণে বা পালনে অপরাগতা বা অস্বীকৃতি প্রকাশ করলে, তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন অনুযায়ী, ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার উচ্চারণ করা হয়।
আগামী ১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা-বিকাল ২টা পর্যন্ত একটানা চলবে ভোট গ্রহণ। চট্টগ্রামে ১৫ উপজেলায় ১৫টি ভোট কেন্দ্রের ৩০টি বুথে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নারায়ন রক্ষিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপরদিকে সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৬৮ সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে ৪৬ জন সাধারণ সদস্য এবং ২২ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের প্রার্থী। ভোট প্রদান করবেন ২ হাজার ৭৩০ জন।
জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী, জেলা পরিষদ নির্বাচনে শুধুমাত্র ভোটার হবেন-চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, ১৫ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, ১৫ উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাধারণ ওয়ার্ডের মেম্বার, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার এবং সকল পৌরসভার মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলররা।











