অপ্রত্যাশিতভাবে পাবার তৃপ্তিতে বেসামাল হয় তাজানতাম। দলীয় ক্ষমতার আস্ফালনে কেউ কেউ বেফাঁস কথা বলেন। তবে তা যদি বর্তমান মন্ত্রীর কথন হয়, তা কীভাবে গ্রহণ করি? বর্তমান নির্বাচিত সরকার নিত্যপণ্যের দাম টেনে ধরবেন বলে নানা কথা শুনিয়েও কি যুগোপযোগী ব্যবস্থায় ফিরাতে পেরেছেন? সামনে রমজান, পবিত্র রমজানের পূর্ণতা সাধনে রোজাদার সংখ্যা অধিক। অথচ দ্রব্য মূল্যের দাম কি নিয়ন্ত্রণের ভারসাম্য রক্ষা করতে পেরেছেন?
বাজারে গেলে মাথা গরম, আলুর দাম কিছুটা নিম্নমুখী হলেও পিয়াজ, রসুন, চিনি তেল সহ নানা পণ্য ক্রয়ে দিকবিদিক হারায়। জনগণের সরকার কি দ্রব্যমূল্যের দাম ক্রয় ক্ষমতার আয়ত্তে আনতে পারলেন?
মধ্যবিত্তের দুঃসহ যন্ত্রণা, আয়ের সাথে ব্যয়ের পরিমাণ মিলে না। বলা চলে, নুন আনতে পান্তা ফুরায়। টানাটানিতে মাথা ঠাণ্ডা রাখা দুরূহ। সহ্যের বাধ ভেঙে ঝগড়াঝাঁটিতে বয়ে যায়। পরিবার, স্বজন কারো মন রক্ষা করা যায় না। ঐতিহ্যের পিঠা নাস্তা আজ খাওয়া দুরূহ। চিনি তেলহীন সব ভেস্তে যাচ্ছে– সুস্বাদু খাবার যেন মনের প্রাপ্তিতে অনন্য দুরাশা। আমার কি পুরানো ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারবো? নাকি বাণিজ্য মন্ত্রীর জোর তৎপরতা কথন হয়ে থাকবে? সূর্য কি হাতের মুঠোয় আনতে পারবো? ইচ্ছের নিয়ন্ত্রক সরকার। প্রতিটি পণ্য ভিত্তিক জোরদার কার্যক্রম হাতে নিন। অন্যথায় কালোবাজারী ও সিন্ডিকেটের সর্বনাশের ধারা আক্রান্ত হবে। প্লিজ এদের কার্যক্রম রুখতে যুদ্ধ ঘোষণা করুন, জনতা আপানাদের পাশেই আছে।
দেশের সমৃদ্ধি, জনগণের সমৃদ্ধি। মাননীয় সরকার প্রধান, আপনাকে বলতে ইচ্ছে হয়–আপনি নড়েচড়ে বসুন, কালোবাজারী ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করুন। ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণে এখনিই প্রকৃত সময়। রমজানের পবিত্রতা সাধনে দল মত নির্বিশেষে সবাই এক।