ভূমি মন্ত্রণালয়ের নামজারি এবং খতিয়ানের ডাটাবেজ আইন মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত নিবন্ধন অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে নামজারি আবেদনে থাকছে না বাড়তি দলিলাদি জমা দেওয়ার ঝামেলা। এখন থেকে জমির যেসব ডকুমেন্ট সরকারের কাছে রয়েছে, এর কপি আর নাগরিককে নামজারি আবেদনের সময় জমা দিতে হবে না। এছাড়া ভূমি ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের মধ্যে ভূমি উন্নয়ন কর, খতিয়ান/পর্চা, জরিপ এবং জমির ম্যাপ সম্পর্কিত সেবা পাওয়া আরও সহজ হবে। ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে ভূমি সেবা ডিজিটাইজেশনের বিভিন্ন উদ্যোগ কার্যকরভাবে স্থাপনে দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বাংলানিউজের।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘ভূমি অফিসে না এসে ভূমি সেবা গ্রহণ করুন’ প্রতিপাদ্যে গত ১৯ মে বৃহস্পতিবার ভূমি সেবা সপ্তাহ ২০২২-এর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত (রেকর্ডেড) শুভেচ্ছা বার্তা প্রদর্শন করা হয়। সেবা সপ্তাহটি আজ ২৩ মে পর্যন্ত চলবে।
নিবন্ধন ও নামজারি: ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিগগির ই-নামজারির জন্য আধুনিক ফরম চালু করা হবে।
এ ফরম চালু হলে আবেদন করার সময় আবেদনে ত্রুটি আছে কিনা তা বোঝা যাবে। এছাড়া কল সেন্টারের মাধ্যমেও নামজারির আবেদন জমা দেওয়া যাবে। জমির যেসব ডকুমেন্ট সরকারের কাছে রয়েছে, এর কপি আর নাগরিককে নামজারি আবেদনের সময় জমা দিতে হবে না। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নিবন্ধন দলিল মূলেও নামজারি করা হবে। এতে জমি হস্তান্তরে নতুন করে নামজারির প্রয়োজন হবে না।
খতিয়ান বা পর্চা: এখন পর্যন্ত পাঁচ কোটি ১৩ লাখ খতিয়ান ডিজিটাইজ করা হয়েছে। একটি খতিয়ান থেকে পরবর্তীতে কতটি খতিয়ান তৈরি হয়েছে তাও জানা যাবে ডিজিটাল সিস্টেম থেকে। এতে বোঝা যাবে মূল খতিয়ানের জমি এবং মূল খতিয়ানের অন্যান্য খতিয়ানের জমির পরিমাণের মধ্যে সামঞ্জস্যতা। এছাড়া খতিয়ান ডাটাবেজ নিবন্ধন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সমন্বয় করা হলে একই জমি বারবার বিক্রি হওয়ার কোনো ধরনের সুযোগ থাকবে না এবং জাল দলিল তৈরি রোধ হবে। এছাড়া কিউআর কোড দিয়েও দলিলের সঠিকতা এখন যাচাই করা যাচ্ছে।












