ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, দুর্নীতির সুযোগ কমাতে মাঠ পর্যায়ে ভূমি কর্মকর্তাদের বিবেচনামূলক ক্ষমতা কমিয়ে ভূমি ব্যবস্থাপনাকে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি)’র আওতায় আনা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এতে ভূমি সেবাদানকারী কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সুযোগ বহুলাংশে কমে যাবে। খবর বাসসের।
মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওস্থ এফডিসির মিলনায়তনে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির উদ্যোগে আয়োজিত ‘ভূমি ব্যবস্থাপনায় জন-অংশগ্রহণ ও সুশাসন’ শীর্ষক এক ছায়া-সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ভূমি সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমি মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের সময় ৩১টি দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। ভূমি মন্ত্রণালয় সেই নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করছে। তিনি জানান, বাংলাদেশের একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের সুবিধার্থে ১৬১২২ নম্বরে ফোনযোগে খতিয়ান (পর্চা) ও জমির ম্যাপের আবেদন এবং ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের সুবিধার মতই ফোনে নামজারির আবেদনের সুযোগও তৈরি করা হচ্ছে। এতে ডিজিটাল ভূমিসেবা গ্রহণে স্মার্ট ফোন কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহার করার কোন প্রয়োজনও নেই। তিনি আরো জানান, এছাড়াও জমির যেসব দলিলাদি ইতোমধ্যেই সরকারি অফিসে আছে- এ পদ্ধতিতে তাও আলাদা করে আর জমা দিতে হবে না। এতে নামজারি করা আরও সহজ হবে। ভূমি সচিব বলেন, ভূমি অপরাধ আইনের খসড়া তৈরি প্রায় শেষ এবং মতামতের জন্য শীঘ্রই তা উন্মুক্ত করা হবে। ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান ভূমি সচিব।
এক প্রশ্নের জবাবে ভূমি সচিব জানান, সরকারি নীতির কারণে ভূমিসেবা হটলাইন ১৬১২২ এখনই টোল-ফ্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। কেননা ভূমি বিষয়টি জরুরি সংকটময় সেবার অন্তর্ভূক্ত নয়। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও বিরোধী দল হিসেবে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মধ্যে ট্রফিসহ অন্যান্য সনদপত্র বিতরণ করেন ভূমি সচিব।