তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্পের প্রায় তিন দিন পর পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমির শহরে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া ৩ বছর বয়সের এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার ঘটে যাওয়া এজিয়ান সাগরের এ ভূমিকম্পে ইজমিরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৩ জন। আর গ্রিসের সামোস দ্বীপে মৃতের সংখ্যা ২ জনেই রয়েছে। সব মিলিয়ে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে। তুরস্কে প্রায় এক দশকের মধ্যে ভূমিকম্পের ভয়াবহতা এবারই সবচেয়ে বেশি। দেশটির দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগের (এএফএডি) হিসাবমতে, ইজমিরে ব্যাপক প্রাণহানির পাশাপাশি আহত হয়েছে মোট ৯৯৪ জন। সিএনএন তুর্ক সমপ্রচারমাধ্যম জানায়, শহরটির একটি এপার্টমেন্ট ব্লকে এখনও ২০ জনের মতো চাপা পড়ে আছে এবং সেখানে অনুসন্ধান চলছে। খবর বিডিনিউজের।
উদ্ধারকারীরা ভূমিকম্পের ৬৫ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপ থেকে এলিফ নামের তিন বছর বয়সী এক শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছে। ভেঙে পড়া আরও ৮টি বাড়ির ধ্বংস্তূপেও জীবিতদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এর আগে শনিবার উদ্ধারকর্মীরা একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এলিফের মা এবং ভাইবোনদের উদ্ধার করেছিল। তবে এদের মধ্যে এক শিশু পরে মারা যায়।
অন্যদিকে, ইজমিরের বেরাকলিতে ভেঙে পড়া ২০টি ভবনের একটির ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ভূমিকম্পের ৩৩ ঘণ্টা পর আহমেদ সিতিম নামের ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকেও উদ্ধার করা হয়। ভূতাত্ত্বিক চ্যুতি থাকার কারণে তুরস্কের উপকূল ভূমিকম্পপ্রবণ; ১৯৯৯ সালে দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। শুক্রবারের ভূমিকম্পটির মাত্রা ৬ দশমিক ৯ ছিল বলে জানিয়েছে ইস্তাম্বুলভিত্তিক কান্দিলি ইনস্টিটিউট; ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল সামোসের উত্তর পূর্বে এজিয়ান সাগরে।