অনিয়মের মাধ্যমে ‘ভুয়া’ ব্যক্তিকে নগরের শাহ আমানত মার্কেটের নিচ তলায় কার পার্কিং ইজারা দেয়ায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দুই কর্মকর্তা–কর্মচারীকে শোকজ করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন– সহকারী এস্টেট অফিসার এখলাছ উদ্দিন এবং রাজস্ব সার্কেল–৮ এর কর আদায়কারী মো. জাহাঙ্গীর।
গতকাল মঙ্গলবার চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মুফিদুল আলম কারণ দর্শানোর নোটিশে স্বাক্ষর করেন। এতে উক্ত কর্মকর্তা–কর্মচারীর বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব দিতে তিন কার্যদিবস সময় দেয়া হয়।
কারণ দর্শানোর নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, বাংলা ১৪২৬ সনের জন্য শাহ আমানত মার্কেটের নিচ তলা কার পার্কিংয়ের জন্য ইজারা দেয়া হয় দিদারুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে। তার পিতার নাম মৃত মোহাম্মদ হোসেন। ঠিকানা উল্লেখ করা হয়, শাহ আমানত মাজার লেন, জেল রোড। এর আগে ১৪২৩, ১৪২৪ ও ১৪২৫ বাংলা সনে ইজারা পেয়েছেন তার নামও দিদারুল ইসলাম। তবে তার পিতার নাম হাজী আবদুল মাবুদ। ঠিকানা ১০৯ শাহ আমানত সিটি কর্পোরেশন সুপার মার্কেট। এদিকে ১৪২৬ সনের জন্যও পূর্বের তিন বছর ইজারা পাওয়া দিদারুল ইসলাম আবেদন করেন।
এবিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, ‘প্রকৃত ইজারাদার বিভিন্ন সময়ে কার পার্কিংয়ের ইজারা প্রাপ্তির জন্য আবেদন করলেও তার আবেদন নথিতে উপস্থাপন করা হয়নি। এমনকি অন্য কোন ইজারাদার আবেদন করেছে কী না জানতে চাইলে দুই কর্মকর্তা ‘আবেদন নাই’ বলে জানান। ইজারা গ্রহীতা লীজের কোন শর্ত ভঙ্গ করেছে কী না জানতে চাইলেও তারা প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে কোন শর্ত ভঙ্গ করেনি বলে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়, ‘মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে মো. দিদারুল ইসলাম প্রকৃত ইজারাদার নয়। তিনি একজন ভুয়া ইজারাদার। তাকে প্রকৃত ইজারাদার বানিয়ে ১৪২৬ ও ১৪২৭ সনের ইজারা দিতে দুই কর্মকর্তা প্রস্তাব করেন। এতে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া হয়। উর্ধতন কর্তৃপক্ষকেও ভুল বুঝানো হয়। ভুয়া ইজারাদারের নামে সাফাই গাওয়া হয়। অন্যায়ভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে এ অপকর্ম করেছেন’ বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
এবিষয়ে চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মুফিদুল আলম দৈনিক আজাদীকে বলেন, তারা প্রকৃত ব্যক্তিকে না দিয়ে ভুয়া ব্যক্তিকে ইজারা দিয়েছেন। তারা অনিয়মের সাথে জড়িত। তাই তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।