পতেঙ্গা ঘুরতে যাওয়ার বিষয় নিয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর পাহাড়তলীতে খুন হওয়া আনোয়ারের সাথে তার বন্ধুদের ঝগড়া হয়। সেখানে বেড়াতে যেতে জনপ্রতি ২০০ টাকা করে চাঁদা তোলার বিষয়টি নিয়ে আনোয়ার আপত্তি জানায়। পতেঙ্গা যাওয়া শেষ পর্যন্ত আর হয় নি। ১৯ ডিসেম্বর রাতে বিষয়টি সমাধানের জন্য রনি, আকাশ, মিঠুনসহ অন্যদের সঙ্গে আলাপ করার চেষ্টা করে আনোয়ার। ভুল বুঝাবুঝি মেটাতে শনিবার রাতে অফিস শেষে সাগরিকা মোড়ে একত্রিত হয়েছিলেন তারা। কিন্তু সেই সাক্ষাতে ভুল বোঝাবুঝির অবসানের বদলে বন্ধুদের হাতে প্রাণটাই যায় আনোয়ারের। আনোয়ারের বাবা মো. সেলিম বাদী হয়ে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে পাহাড়তলী থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম। গতকাল ২০ ডিসেম্বর ভোর রাতে ও সকালে পৃথক দু’টি অভিযান চালিয়ে নগরীর রেল স্টেশন ও পাহাড়তলী থানার আবদু পাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পাহাড়তলী থানা পুলিশ।
ওসি হাসান ইমাম জানান, শনিবার রাতে আকাশ, রনি ও মিঠুনসহ অন্যদের ছুরিকাঘাতে তাদের বন্ধু আনোয়ার খুন হন। ভোর রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে খুনে অভিযুক্তদের একজন মিঠুনকে আমরা আটক করি। তার দেওয়া তথ্যে আরেক অভিযুক্ত আকাশকে সকালে কিশোরগঞ্জ পালিয়ে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে আটক করি। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে খুন হওয়া আনোয়ার নগরীর হালিশহর জে ব্লক এলাকার মো. সেলিমের ছেলে। তিনি সাগরিকা এলাকায় একটি সিগারেট কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। এদিকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল আসামীদ্বয়কে মহানগর হাকিম সরওয়ার জাহানের আদালতের হাজির করা হলে খুনের দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। আদালতে জবানবন্দী দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) শাহাবুদ্দিন আহমদ।