ভুল ধারণায় অনিশ্চিত হতে পারে জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ভর্তি!

একাদশ শ্রেণি মোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই হবে মেধাক্রম

রতন বড়ুয়া | বৃহস্পতিবার , ১৭ আগস্ট, ২০২৩ at ৭:০১ পূর্বাহ্ণ

এসএসসিতে সর্বোচ্চ জিপিএ পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত হতে পারে জিপিএ৫ প্রাপ্তদের। কলেজ ভর্তি নীতিমালায় উল্লেখিত নিয়ম সম্পর্কে অসচেতনতার দরুন এই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে এসব মেধাবী শিক্ষার্থী। আগে সমান জিপিএ (গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ) পাওয়াদের ক্ষেত্রে মোট জিপি (গ্রেড পয়েন্ট)’র ভিত্তিতে মেধা তালিকা নির্ধারণ করা হলেও ২০১৬ সাল থেকে এ নিয়মে পরিবর্তন এনেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটি। ওই বছর (২০১৬) থেকে মোট জিপি’র স্থলে মোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই মেধা তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে। যা এবারের (২০২৩২৪ শিক্ষাবর্ষে) একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালায়ও বহাল রয়েছে।

নীতিমালার প্রার্থী নির্বাচনে অনুসরণীয় পদ্ধতির অংশে অনুচ্ছেদ ৩.৩ এর উপঅনুচ্ছেদ ৩..১ অনুযায়ীসমান জিপিএ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে মর্মে উল্লেখ করা আছে। বিষয়টি একটু স্পষ্ট করলে বলা যায়এবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে তিন বিভাগে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায়) জিপিএ৫ পেয়েছে মোট ১১ হাজার ৪৫০ জন শিক্ষার্থী। এ সব শিক্ষার্থীকেই একই ক্যাটাগরির আওতায় বিবেচনা করা হবে। মোট প্রাপ্ত পয়েন্টের (গ্রেড পয়েন্ট) স্থলে তাদের প্রাপ্ত মোট নম্বরের ভিত্তিতেই মেধা তালিকা প্রস্তুত ও প্রকাশ করা হবে। সেক্ষেত্রে একটি বা দুটি বিষয়ে ‘এ প্লাস’ মিস করে জিপিএ৫ পাওয়া একজন শিক্ষার্থীর মোট প্রাপ্ত নম্বর সবকয়টি বিষয়ে ‘এ প্লাস’ পাওয়া (গোল্ডেন জিপিএ৫ বলে প্রচলিত) একজন শিক্ষার্থীর তুলনায় বেশিও হতে পারে। সেটি হলে সবকয়টি বিষয়ে ‘এ প্লাস’ না পেয়েও জিপিএ৫ পাওয়া ওই শিক্ষার্থী মেধা তালিকায় এগিয়ে যেতে পারে। আর সবকয়টি বিষয়ে ‘এ প্লাস’ পেলেও মোট প্রাপ্ত নম্বর কম হলে ওই শিক্ষার্থী (গোল্ডেন জিপিএ৫ পাওয়া) মেধা তালিকায় পিছিয়ে থাকবে। অর্থাৎ একটি বা দুটি বিষয়ে এ প্লাস মিস করে জিপিএ৫ পাওয়া একজন শিক্ষার্থীর মোট প্রাপ্ত নম্বর সবকয়টি বিষয়ে জিপিএ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর তুলনায় বেশি হলে সেক্ষেত্রে একটি বা দুটি বিষয়ে এ প্লাস মিস করে জিপিএ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীই মেধা তালিকায় এগিয়ে থাকবে। আর সবকয়টি বিষয়ে এ প্লাস পেলেও মোট প্রাপ্ত নম্বর কম হলে গোল্ডেন জিপিএ৫ পাওয়া শিক্ষার্থী পিছিয়ে থাকবে।

এদিকে, শিক্ষার্থীঅভিভাবক এমনকি শিক্ষকরাও নীতিমালায় এই নিয়ম সম্পর্কে অবগত নন। ফলে সবকয়টি বিষয়ে ‘এ প্লাস’ পেয়ে জিপিএ(গোল্ডেন) পাওয়াদের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই কেবল ৫টি বা ৬টি কলেজকেই পছন্দ দিয়ে আবেদন করে থাকে।

সর্বোচ্চ দশটি কলেজ পছন্দ দিয়ে আবেদনের সুযোগ থাকলেও অনেকেই তা করে না। তাদের বিশ্বাসযেহেতু সবকয়টি বিষয়ে এ প্লাসসহ (গোল্ডেন) জিপিএ৫ রয়েছে, সেহেতু এই ৫/৬টি কলেজে আবেদন করলেই যথেষ্ট। এর মধ্য থেকে যে কোনো একটিতে অবশ্যই ভর্তির জন্য তারা মনোনীত হবে। অন্যদিকে, একটি বা দুটি বিষয়ে ‘এ প্লাস’ মিস করে জিপিএ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরাও ভুল করছে আবেদনে। তারা প্রথম সারির বা পছন্দের শীর্ষে থাকা কলেজগুলোতে আবেদনই করছে না। তাদের ধারণাশীর্ষস্থানীয় কলেজগুলোতে গোল্ডেন জিপিএ৫ প্রাপ্তরাই কেবল ভর্তির সুযোগ পাবে। একটি বা দুটি বিষয়ে ‘এ প্লাস’ মিস করে জিপিএ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ হবে না। তাই এসব কলেজে আবেদন করে লাভ নেই। এতে শীর্ষ স্থানীয় কলেজগুলোর আশা বাদ দিয়ে তুলনামূলক মধ্যম সারির কলেজগুলোতেই আবেদন করে অনেক শিক্ষার্থী। চট্টগ্রামে জিপিএ৫ পাওয়াদের উভয় ক্যাটাগরির বেশ কয়জন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানের ছাত্র অমিত নগরীর একটি বেসরকারি স্কুল থেকে এবার এসএসসিতে সবকয়টি বিষয়ে ‘এ প্লাস’সহ জিপিএ৫ পেয়েছে। তার দৃঢ় বিশ্বাস সে চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে। তাই চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজ ও সরকারি সিটি কলেজসহ মোট ৫টি কলেজে আবেদন করেছে সে। কিন্তু আরো ৫টি কলেজে আবেদনের সুযোগ থাকলেও তার প্রয়োজন নেই বলে মনে করে অমিত। তার বক্তব্যগোল্ডেন জিপিএ৫ পাওয়ায় এই তিনটি কলেজের যে কোনও একটিতে অবশ্যই সুযোগ পাওয়া যাবে। তাই অযথা অন্য কলেজগুলোতে আবেদন করার দরকার নেই। অন্যদিকে, একটি বিষয়ে (গণিতে) ‘এ প্লাস’ মিস করেও জিপিএ৫ পেয়েছে ইয়াছমিন আক্তার। সুযোগ পাওয়া যাবে না, এই আশঙ্কায় চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজে আবেদনই করেনি বিজ্ঞানের এই শিক্ষার্থী। আবেদন করেছে সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজসহ আরো কয়েকটি বেসরকারি কলেজে। কিন্তু চট্টগ্রাম কলেজে পড়ার খুব ইচ্ছে ছিল তার। ইয়াছমিনের ধারণাচট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজে কেবল গোল্ডেন জিপিএ৫ প্রাপ্তরাই ভর্তির সুযোগ পাবে। এক বিষয়ে ‘এ প্লাস’ মিস করায় সেখানে তার ভর্তির সুযোগ হবে না। তাই আবেদনের সময় এই দুটি কলেজ পছন্দের তালিকায় দেয় নি সে। ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে জিপিএ৫ পাওয়া এই দুই ক্যাটাগরির শিক্ষার্থীই মারাত্নক ভুল করছে বলে মন্তব্য বোর্ড সংশ্লিষ্টদের। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক আজাদীকে বলেন, ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী– ‘সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে মোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। ফলে জিপিএ৫ প্রাপ্তদের মাঝে কে সবকয়টি বিষয়ে ‘এ প্লাস’ পেলো, আর কে পেলো না তা বিবেচনায় আনা হবে না। সকল জিপিএ৫ প্রাপ্তদেরই একই ক্যাটাগরিতে ধরা হবে এবং তাদের মোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই মেধাক্রম প্রকাশ করা হবে। আর সবকয়টি বিষয়ে ‘এ প্লাস’ পেয়ে (গোল্ডেন) জিপিএ৫ পাওয়া একজন শিক্ষার্থীর তুলনায় একটি বা দুটি বিষয়ে ‘এ প্লাস’ মিস করে জিপিএ৫ পাওয়া একজন শিক্ষার্থীর মোট প্রাপ্ত নম্বর বেশি হতে পারে। সেক্ষেত্রে মোট প্রাপ্ত নম্বর বেশি হওয়ার সুবাদে মেধা তালিকায় ওই শিক্ষার্থী(একটি বা দুটি বিষয়ে ‘এ প্লাস’ মিস করে জিপিএ৫ পাওয়া) এগিয়ে থাকবে। আর সবকয়টি বিষয়ে ‘এ প্লাস’ পেয়ে জিপিএ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীটি ভর্তির সুযোগ নাও পেতে পারে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীঅভিভাবকদের সতর্ক হওয়া এবং সুযোগ থাকায় সর্বোচ্চ সংখ্যক (মোট দশটি) কলেজে আবেদনের পরামর্শ দিয়েছেন কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক।

ভুল ধারণার কারণে জিপিএ৫ পেয়েও অনেক শিক্ষার্থীর কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে জানিয়ে শিক্ষাবোর্ড সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে আগে আবেদনকৃত সবকয়টি কলেজে একজন শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য মনোনীত করা হতো। কিন্তু বর্তমানে একজন শিক্ষার্থীকে একটি মাত্র কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত করা হচ্ছে। তাই সবকয়টি বিষয়ে জিপিএ৫ পাওয়া একজন শিক্ষার্থী কেবল ৫টি কলেজে আবেদন করলে সেক্ষেত্রে ৫টি কলেজেই ভর্তির জন্য তার মনোনীত না হওয়ার আশংকা রয়ে যায়। আর আবেদনে পছন্দের তালিকায় না দেয়ায় অন্য কলেজের মেধা তালিকায় ওই শিক্ষার্থীর নাম আসার প্রশ্নই আসে না। এতে করে জিপিএ৫ পেয়েও তার কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। যার কারণে এসব শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের পরামর্শযেহেতু সুযোগ আছে সেহেতু সর্বোচ্চ সংখ্যক কলেজে আবেদন করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে করে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চিয়তায় পড়তে হবে না। একই ভাবে যেহেতু গোল্ডেন জিপিএ৫ বিবেচ্য নয়, সেহেতু একটি বা দুটি বিষয়ে ‘এ প্লাস’ মিস করে জিপিএ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের উচিত শীর্ষ স্থানীয় বা প্রথম সারির কলেজগুলোতে আবেদন করা। মোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে বিধায় এক্ষেত্রে তাদের সুযোগও কোনও অংশে কম নয়। ২০ আগস্ট পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ থাকায় তা কাজে লাগানোর পরামর্শও দেন শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা।

মেধামান নির্ধারণ যেভাবে: ২০১৫ সাল পর্যন্ত একই জিপিএ ধারীদের মাঝে মোট জিপি (গ্রেড পয়েন্ট)’র ভিত্তিতে মেধা তালিকা নির্ধারণ করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটি। সেক্ষেত্রে সবকয়টি বিষয়ে (চতুর্থ বিষয়সহ) ‘এ প্লাস’ পেয়ে জিপিএ৫ প্রাপ্তদের একটি ক্যাটাগরিতে ধরা হতো এবং ভর্তির ক্ষেত্রে তারাই ছিল এগিয়ে। আর এক বা একাধিক বিষয়ে ‘এ প্লাস’ মিস করা জিপিএ৫ প্রাপ্তদের ধরা হতো পরের ক্যাটাগরিতে।

তবে ২০১৬ থেকে জিপিএ৫ প্রাপ্ত সব শিক্ষার্থীকেই একই ক্যাটাগরির আওতায় বিবেচনায় ধরে মোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই মেধাক্রম নির্ধারণ করে আসছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটি। এবারের ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ীবিজ্ঞান গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট প্রাপ্ত নম্বর সমান হলে মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনা হবে। এরপরও জটিলতা নিরসন না হলে তবে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়নে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় নিয়ে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে।

আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত মোট নম্বর সমান হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় নিয়ে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। অন্যদিকে, এক গ্রুপের প্রার্থী অন্য গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে জিপিএ একই হলে মোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ হবে। এরপরও জটিলতা দেখা দিলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় নিয়ে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে।

আবেদন সংশোধনের সুযোগ: একাদশে ভর্তিতে গত ১০ আগস্ট থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে। যা ২০ আগস্ট রাত ১২টার আগ পর্যন্ত চলবে। এই সময়সীমার (২০ আগস্টের) মধ্যে আবেদনে কলেজ পরিবর্তন ও পছন্দক্রম পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটি সূত্রে জানা গেছে, যারা ভুল ধারণায় আবেদনে কম সংখ্যক কলেজ পছন্দ দিয়ে আবেদন করেছে তারা এই সময়ের মধ্যে আবেদন সংশোধন করতে পারবে। সংশোধনের মাধ্যমে আবেদনে তারা কলেজ যোগ করতে পারবে। একই ভাবে কলেজের পছন্দক্রমও পরিবর্তনের সুযোগ পাওয়া যাবে। ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে ‘আপডেট এপ্লিকেশন’ বা সংশোধন সংক্রান্ত অপশন যুক্ত করা আছে। ওই অপশনে গিয়ে সিকিউরিটি কোড ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা আবেদন সংশোধনের সুযোগ পাবে। ২০ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন সংশোধনের এ সুযোগ থাকছে। তবে পুনঃনিরীক্ষায় ফল পরিবর্তন হওয়া শিক্ষার্থীদের ৩১ আগস্ট (একদিন) পুনরায় আবেদনের সুযোগ রয়েছে। ওই দিনও (৩১ আগস্ট) আবেদন সংশোধনের সুযোগ পাওয়া যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক।

প্রসঙ্গত, একাদশে ভর্তিতে ২০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন নেওয়া হবে। এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদেরও এই সময়ে আবেদন করতে হবে। কেবল পুনঃনিরীক্ষায় ফল পরিবর্তন হওয়া শিক্ষার্থীরা নতুন করে আবেদনের সুযোগ পাবে ৩১ আগস্ট। আর প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ৫ সেপ্টেম্বর। ২য় ও ৩য় পর্যায়ের ফল প্রকাশের পর ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবরের মধ্যে কলেজগুলোকে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে ৮ অক্টোবর থেকে একাদশে ক্লাস শুরু হবে। আবেদনের সময়সিডিউল সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, নির্দেশিকা ও ফি প্রদানের পদ্ধতি ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট (িি.িীরপষধংংধফসরংংরড়হ.মড়া.নফ) –এ পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে, গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে মোট ১ লাখ ৭ হাজার ৩১৩ জন আবেদনকারী ভর্তির জন্য আবেদন করেছে। আবেদনে মোট ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৫টি পছন্দ দিয়েছে এসব আবেদনকারী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখালেদাকে বিদেশ না পাঠালে আরো কঠিন কর্মসূচি আসতে পারে : খসরু
পরবর্তী নিবন্ধটেক্সি ও মোটর সাইকেলকে চাপা দিল নিয়ন্ত্রণহারা বাস